মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||
আশ্বিন ১ ১৪৩১
|| ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৪
জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাশ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া সম্পর্কিত বিষয়ে জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবীর অভিযোগে ঐ পত্রিকার কক্সবাজার, উখিয়া প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবুল কাশেম এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এ্যাক্ট ১৯৭৪ এর ১১(২) (বি) ধারা অনুযায়ী সাংবাদিকের অনুসরনীয় অচরণ বিধি তোয়াক্কা না করে ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ প্রকাশের জন্য গত মঙ্গলবার(২ জুলাই) বান্দরবান দ্রুত বিচার আদালত ও বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ।
মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বান্দরবান পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
চলতি বছরের ২৮শে মে জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় "দলীয় পদ পদবী যেনো আলাদীনের চেরাগ" এবং ২০শে জুন "শুন্য থেকে কোটিপতি লক্ষী পদ দাশ" এবং পরবর্তীতে "যুগান্তর প্রতিবেদনে তোলপাড় শূন্য থেকে শত কোটি টাকার মালিক লক্ষীপদ দাশ" শিরোনামে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাশ এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে ঐ পত্রিকার কক্সবাজার উখিয়া প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবুল কাশেম।
সংবাদ প্রকাশের জেরে লক্ষীপদ দাশ কে দেখা করতে বল্লে তার অনুরোধে কক্সবাজার Surf side Cafe রেস্টুরেন্টে দেখা করেন তারা এবং সাংবাদিক আবুল কাশেম এর মাধ্যমে ঐ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ছাপানোর বিষয়ে আলোচনা হয় এ জন্য লক্ষী পদ দাশের'র কাছ থেকে আবুল কাশেম ৫০ লাখ টাকা দাবী করে।অনেক বাকবিতন্ডার পার ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আবুল কাশেম।এসময় রাজনৈতিক, সামাজিক সুনামের ক্ষতির কথা ভেবে আবুল কাশেম কে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ হতে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান লক্ষী পদ দাশ এবং ২ লাখ টাকা আবুল কাশেম কে প্রদান করেন।
পরবর্তীতে ঐ পত্রিকায় প্রতিবাদ লিপি ছাপানো এবং ভূল সংশোধনের জন্য তাকে অনুরোধ করলেও সে তা পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থা না করে লক্ষীপদ দাশ এর Whatsapp নাম্বারে ফোন করে তার কাছ হতে আরো ১৮ লাখ টাকা দাবী করে মেসেজ পাঠায় "সম্মান দিয়েছি,সম্মান যদি আপনি রাখতে না পারেন আমার কিছু করার নাই"।
ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত ৫ই জুলাই রাত সাড়ে দশটায় মেসেজ এর প্রেক্ষিতে আবুল কাশেম কে কল করেন লক্ষীপদ দাশ এসময় আবুল কাশেম অবশিষ্ট ১৮ লাখ টাকা দাবী করে লক্ষীপদ দাশের কাছে যা মোবাইলে রেকর্ড করা হয়।এরই ধারাবাহিকতায় অতিষ্ঠ হয়ে পরবর্তীতে ৯ জুলাই বান্দরবান বান্দরবান দ্রুত বিচার আদালত ও বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক লক্ষী পদ দাশ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন ছাত্রজীবন থেকে আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত,পারিবারিক ভাবেই জেলায় সম্ভ্রান্ত পরিবার হিসেবে আমরা পরিচিত,আমার বিরুদ্ধে ভিত্তীহিন প্রমাণ ছাড়াই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ঐ সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করেছে,চাঁদা দাবীতে অতিষ্ঠ হয়ে আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিক আবুল কাশেম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং আগামী ২১শে জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়