শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০১৯
আলম বেপারী বরাতে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি নির্বাচনে পরাজয়ের পর করণীয় নির্ধারণ, ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচির পরিকল্পনা গ্রহণ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করার নামে নাগরিক আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণ করার জন্য ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকের নামে হাস্যকর রাজনৈতিক আড্ডার কথা জানতে পেরে চরম ক্ষিপ্ত হন রিজভী আহমেদ। এসময় রিজভী আহমেদ যে সরকারকে বৈধতা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে বিএনপি সেই সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া, পুনঃনির্বাচনের দাবি করায় বিএনপি রাজনৈতিক গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলে জনগণের কাছে হাস্যকর দলে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
এসময় ড. কামালের পাল্লায় পড়ে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির অন্যান্য নেতারা বুদ্ধিহীন এবং মেরুদণ্ডহীন নেতায় পরিণত হচ্ছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন রিজভী। এক পর্যায়ে রিজভী আহমেদ ড. কামালের রাজনৈতিক আড্ডায় যোগ না দিতে সকাল ১১ টায় মির্জা ফখরুল ইসলামকে অনুরোধ করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। মির্জা ফখরুল টেলিফোনে রিজভী আহমেদকে দুর্বল রাজনীতিক এবং অভিযোগের বাক্স হিসেবে আখ্যায়িত করেন। রাজনীতি করতে হলে বাসায় না থেকে মাঠে নামতে হয় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
এসময় রিজভী আহমেদ ক্ষিপ্ত হয়ে মির্জা ফখরুলকে ড. কামালের মত রাজনীতিবিদের কাছ থেকে দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, বিএনপি গোলাম রাজনৈতিক দলে পরিণত করার জন্য দায়ী করেন। বিএনপির পরীক্ষিত নেতাদের অবমূল্যায়ন করার জন্য অদূর ভবিষ্যতে বিএনপি কর্মীদের হাতেই লাঞ্ছিত হওয়ারও ভয় দেখান রিজভী। বিএনপি কর্মীদের দীর্ঘদিনের জমানো ক্ষোভের মুখে পড়লে শেষ রক্ষা হবে না বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। একপর্যায়ে রিজভী আহমেদের কড়া সত্য সহ্য করতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে টেলিফোন কেটে দেন মির্জা ফখরুল।
পরবর্তীতে রিজভী আহমেদ উপস্থিত হয়ে বিএনপির বিভিন্ন সারির নেতাদের অদূর ভবিষ্যতে দেখেশুনে আন্দোলনে যোগদান করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি কেউ যেন বিএনপিকে বিক্রি করে ব্যক্তি সুবিধা আদায় করতে না পারে সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়