উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভাসছে বাংলাদেশ
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮
একটা ব্যাপার আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। দেশের একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলও এই উন্নয়নের বাইরে না। শিক্ষা, চিকিৎসা,বিদ্যুৎ, কৃষি, বাণিজ্য সব খাতেই এসেছে সাফল্য।
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশে শতকরা ৭৫ ভাগ লোক গ্রামে বাস করে। বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় ৫৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। লোকের এবং শহর এলাকায় ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ লোকের কৃষিখামার রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং কৃষিখাতের মাধ্যমে ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নের জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় যা বিভিন্ন প্রকল্প ও সংস্থার মাধ্যমে কৃষিখাত উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধি কৃষিপণ্যের উন্নয়ন থেকে শুরু করে কৃষি, কৃষি প্রকৌশল ও কৃষি অর্থনীতির ওপর গবেষণাসহ কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর -এর কার্যকর সেবা কৃষিখাতে যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সরবরাহ করার কাজে নিয়োজিত। বিএডিসির ২১টি বীজ বহুমুখীকরণ খামার এবং ১৫টি কনট্রাক্ট গ্রোয়ার্স জোন রয়েছে। ১২টি বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে কৃষিজাত পণ্যের বীজ যান্ত্রিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তি উদ্যোগ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক সংস্থা কৃষির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
আলোকিত জনগোষ্ঠী গড়তে বাংলাদেশে শিক্ষার গুণগত মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। একসময় বিপুলসংখ্যক কোমলমতি শিশু স্কুলে যাওয়ারই সুযোগ পেতো না। অনেকে আবার স্কুলে গেলেও প্রাথমিক পর্যায় থেকে ঝরে পড়তো। পাবলিক পরীক্ষায় ছিল নকলের ছড়াছড়ি। ফল প্রকাশে যেমন দেরি হতো, আবার প্রকাশের পর দেখা যেতো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য। শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে বাংলাদেশ ছুঁয়েছে নতুন মাইলফলক। দেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। দশ বছর আগে যেখানে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তির হার ছিল ৬১ শতাংশ। বর্তমানে সেখানে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা শতভাগ। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির হার ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬২ শতাংশ, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তির হার ৩৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৪ শতাংশ এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে।
বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নীতি সংক্রান্ত কমিটি (সিডিপি) গত ১৫ মার্চ এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক এ তিনটি সূচকের যে কোন দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও বাংলাদেশ তিনটি সূচকের মানদণ্ডে উন্নীত হয়েছে। শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম আদর্শ দেশ হিসেবে তার স্থান করে নিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতকে যুগোপযোগী করতে প্রণয়ন করা হয়েছে “জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিমালা-২০১১”। তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে ১২ হাজার ৭৭৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার এবং জন্মহার হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ১৯৯০ সালে নবজাতক মৃত্যুর হার ১৪৯ থেকে নেমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৩তে। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার লক্ষ্যকে সামনে রেখে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ১২টি মেডিকেল কলেজ, নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৭ হাজারেও বেশি জনশক্তি। নারীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে “জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১”। নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি কার্যক্রম। নারীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে “জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১”।
নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি কার্যক্রম। বিদ্যুৎখাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে জাতীয় গ্রিডে অতিরিক্ত ৬ হাজার ৩২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযোজন, যার ফলে বিদ্যুতের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে ৬২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সাথে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে ৩৪৮ কিলোওয়াট ঘণ্টায় দাঁড়িয়েছে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে ৩৫ লক্ষ গ্রাহককে।নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ৬৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পাশাপাশি প্রসার ঘটেছে আবাসন, জাহাজ, ঔষুধ, ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য শিল্পের। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যোগ হয়েছে জাহাজ, ঔষুধ এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী। বাংলাদেশের আইটি শিল্প বহির্বিশ্বে অভূতপূর্ব সুনাম কুড়িয়েছে। সম্প্রতি ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের আইটি শিল্প ১০ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় ছাড়িয়ে গেছে। ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করতে ৫৫টি জেলায় বিদ্যমান মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান কম্পিউটারাইজেশনের কাজ সম্পন্ন করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ভূমির পরিকল্পিত ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে মোট ২১টি জেলার ১৫২টি উপজেলায় ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ সম্বলিত প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রণীত হয়েছে “কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন, ২০১২ এর খসড়া”। মন্দার প্রকোপে বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন বিপর্যস্ত ছিল বাংলাদেশ তখন বিভিন্ন উপযু্ক্ত প্রণোদনা প্যাকেজ ও নীতি সহায়তার মাধ্যমে মন্দা মোকাবেলায় সক্ষমই শুধু হয়নি, জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৬ শতাংশের বেশি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির শ্লথ ধারার বিপরীতে আমদানি-রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। ঋণ পরিশোধে সক্ষমতার মানদণ্ডে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের সমকক্ষতা অর্জিত হয়েছে।
এই সরকারের আমলে বাংলাদেশের উন্নয়ন আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে এগিয়ে চলছে দিন দিন। একটি রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সবাই নিশ্চয়ই এমন কিছুই চায়। আশা করা যায় এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা চলতে থাকবে দিনের পর দিন। বাংলাদেশ সরকার আমাদের দেশটাকে একদিন পৃথিবীর বুকে বিশ্বের অন্যতম উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করবে।
- আগামী বছর চালু হবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে
- ঢাকায় বস্তিবাসীদের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধুনিক ফ্ল্যাটবাড়ি
- তিস্তা-গঙ্গা ইস্যুতে মমতার অভিযোগ ভিত্তিহীন: ভারতীয় মন্ত্রনালয়
- এক ছাদের নিচেই ভূমি সংক্রান্ত ১৫ সেবা
- লাখেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক নেবে মালদ্বীপ
- রেমালের ধাক্কা কাটিয়ে উঠছে সুন্দরবন
- ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটিতে লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশ
- রিজার্ভ এখন ২৭ বিলিয়নের বেশি
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- ডিসেম্বরে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে পটুয়াখালীর তাপ বিদ্যুৎ
- ভাঙ্গা-পায়রা রেলপথ নির্মাণে ঋণ দিতে পারে চীন
- বান্দরবান সেনা জোনের সহায়তা প্রদান
- লামায় অর্থনৈতিক শুমারি শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
- রুমায় নগদ অর্থ ও চাল পেলেন ১৭১ পরিবার
- প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর করার পরিকল্পনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- কোরিয়া এখন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী: প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর ফলপ্রসূ
- বছরে ২ হাজার ট্যাক্সি ও বাইক চালক নেবে আরব আমিরাত
- আমে মুগ্ধ ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূত
- ছাগল ও ভেড়া পালনে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ
- ফের চালু হচ্ছে বন্ধ ২০ পাট মিল
- ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম
- রেল-ট্রানজিটে খুলবে নেপাল ভুটানের পথ
- ব্রহ্মপুত্রের খনিজ আহরণের চুক্তি সই, ইজারা পেলো অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি
- ভারত বিশ্বস্ত বন্ধু চীনও উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে - পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আইএমএফের তৃতীয় কিস্তি যুক্ত হলো রিজার্ভে
- বিজিটিসি এন্ডসি’র ১০১তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
- রোয়াংছড়ি উপজেলায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
- থানচি উপজেলায় ট্যুরিস্ট স্পট বন্ধ ঘোষনা
- আলীকদমে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
- উপকূলে নির্মাণ হবে টেকসই বেড়িবাঁধ
- আলীকদমের মারায়ংতং পাহাড়ে পর্যটকের মৃত্যু
- সরকারি অফিসের সময়সূচিতে আসলো পরিবর্তন
- বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার, ছয়জনের রিমান্ড
- পদোন্নতি পেলেন ১৪ পুলিশ কর্মকর্তা
- বান্দরবানে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা
- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-আলীকদম সীমান্ত দিয়ে আসছে চোরাই গরু
- লামায় ম্যালেরিয়া নির্মূলেন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- ছাড়ের পরও পর্যটক নেই বান্দরবানে
- পর্যটক সংকট কাটেনি বান্দরবানে
- এমন ১০টি দেশ, যেখানে পাহাড়-পর্বতের রাজত্ব
- উন্নয়নে যারা পাশে তাদের সঙ্গেই চলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
- বান্দরবানে ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভিজিএফ চাল বিতরণ
- দেশি-বিদেশি আমে জমজমাট বান্দরবান বাজার
- শঙ্খ নদীর দূষিত পানিই ভরসা কানাজিও পাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবারের
- থানচি ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফ চাল বিতরণ
- কেএনএফ বিষয়ে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের মতবিনিময় সভা
- বান্দরবান শহরে এপিবিএন এর জালে আটক ইয়াবা ব্যবসায়ী
- বান্দরবানেও বেনজীরের ৮০ একর জমির খোঁজ