শনিবার ০৬ জুলাই ২০২৪ ||
আষাঢ় ২২ ১৪৩১
|| ২৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাতিলের নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, নয়া দিগন্ত, সংগ্রামসহ দেশের প্রথম সারির পত্রিকাগুলো। প্রথম আলো’সহ ওই জাতীয় দৈনিকগুলো খবরে বলা হয়েছে, সারা দেশে মোট ৭৮৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। কিন্তু এই তথ্য আসলে ভুল। এদিকে ভুল তথ্য দিয়ে খবর প্রকাশ করা পত্রিকাগুলো কী উদ্দেশ্যে এমন মিথ্যাচার ছাড়াচ্ছে তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
প্রথম আলো’সহ ওই পত্রিকাগুলোর খবর অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত দাখিল হওয়া মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে বাতিল হয়েছে ৭৮৬টি। কিন্তু দুর্নীতি, ঋণখেলাপি, নৈতিক স্খলনজনিত কারণ’সহ মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীর সংখ্যা ৭১৩ জন এবং প্রত্যেক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগও উত্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু ৭৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের খবর বাড়িয়ে করেছে পত্রিকাগুলো।
নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের বিবরণী সংক্রান্ত তালিকায় তথ্য অনুযায়ী, সর্বমোট মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে ৭১৩ প্রার্থীর। এদের মধ্যে- আওয়ামী লীগের ৯৬ জন (১টি মূল- জাকির হোসেন, কুড়িগ্রামে-৪ (রাজীবপুর-রৌমারী) এবং ৯৫টি বিদ্রোহী প্রার্থী)। বিএনপি মনোনীত ১৪৫ জনের, জামায়াতের ২০টি ও জাতীয় পার্টির ৫৫টি এবং অন্যান্য দলের ৩৯৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
এদিকে দেশের প্রথম সারির পত্রিকাগুলোর ভুল তথ্যের প্রচারণায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভূরঞ্জন সরকার বলেন, প্রথম আলো’র মতো একটি পত্রিকা তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে খবর প্রকাশ করেছে যা গর্হিত অপরাধ বলেই আমি মনে করছি। তাদের এমন খবরে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াবে। ফলে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করে তারা কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছে কিনা তা সরকারের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা জরুরি। যেহেতু নির্বাচন আসন্ন তাই নির্বাচনের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে বিভ্রান্তিমূলক খবর ছড়ানোর বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।
প্রসঙ্গত, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন শুনানি করে আপিল নিষ্পত্তি করবে ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর। এ ছাড়া যাদের আবেদন বৈধ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা নির্বাচন কমিশনে প্রমাণসহ আপিল করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনে শুনানিতে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন। আর ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়