শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৮
দিন যত যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনও তত এগিয়ে আসছে। মনোনয়নপত্র প্রদানের পর এখন চলছে তা যাচাই বাছাইয়ের প্রক্রিয়া। কিন্তু এই যাচাইয়ের প্রক্রিয়াতেই আটকে গেছে বিএনপি। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বাতিলের খাতায় নাম চলে গিয়েছে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থীদের। বিএনপি থেকে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে ১৪৫টি। অর্থাৎ প্রার্থীদের একটি বড় অংশ বাদ পড়েছে। এমনকি চারটি আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। এর প্রধান কারণ দুর্নীতি। বিএনপি সেই দল যেই দল দুর্নীতিতে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এরকম দলের ক্ষেত্রে প্রার্থী বাতিল অস্বাভাবিক কিছু নয়।
যা দেশের মানুষের কাছে স্বাভাবিক, দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে স্বাভাবিক তা বিএনপির কাছে অস্বাভাবিক। কারণ নিজের বা নিজেদের বেলায় সবাই একটু অন্ধ থাকে। ষোল আনাই তারা পূর্ণ মনে করে। এমনকি নিজেদের ভুল কাজগুলোও মনে হয় সব সঠিক। এরকমটাই হয়েছে বিএনপির ক্ষেত্রে। তারা তাদের নিজেরদের অপকর্মের জন্য অনেকটাই অন্ধ। এজন্য বিভিন্ন অপকর্ম, ভুল তথ্য প্রদান, তথ্য গোপন, টাকা আত্মসাৎ, মামলা, অবৈধ ভাবে সম্পদ আহরণের জন্য বাদ পড়েছেন বিএনপির অনেক প্রার্থী। এর ভিতর রয়েছে অনেক হেভিওয়েট নেতা কর্মীরাও।
মনোনয়নপত্র বাতিলের তালিকায় সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনটি আসনে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ওই তিনটিতেই কারাবন্দি এ নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মামলাসংক্রান্ত সার্টিফাইড কপি না থাকায় রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে তাদের আরো অনেক সাঙ্গপাঙ্গ। বগুড়া-৭, ঢাকা-১, মানিকগঞ্জ-২ এবং জামালপুর-৪ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে টেকেনি। অর্থাৎ এই চারটি আসন বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই।
এই বাতিলের তালিকাকে কেন্দ্র করেই নীল নকশা করছে বিএনপি। নীলনকশা সাজাতে সংসদীয় ৩০০টি আসনে তাদের ৮০০ জন প্রার্থীকে নমিনেশন দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু তাদের কোনো চাল এখন পর্যন্ত সফল হতে পারেনি। এজন্য নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং আওয়ামী লীগকে হেয় করার মতো খেলায় তারা মেতে উঠেছে এই দল । বিএনপির নেতাকর্মীদের মুখে নিজেদের কুকর্ম ও এর ফল ঢাকতে তাদের মুখে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে যে আওয়ামী লীগ চায় না সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক। এমনকি তৈরী করছে সরকার বিরোধী নানা রকম মিথ্যাচার। তারা বলছেন যে আওয়ামী লীগের ইশারায় নির্বাচন কমিশন নাকি তাদের নেতাকর্মীদের বাতিলের খাতায় ফেলছে।
নির্বাচনে তাদের আসন্ন ভরাডুবির খবর বুঝতে পেরে তারা চাইছে গুজব, মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচাল করতে। নির্বাচনী প্রচারণা কিংবা মনোনয়ন নিয়ে তাদের চিন্তা কম। তাদের বর্তমানে প্রধান হাতিয়ার হলো গুজব ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়