মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪ ||
আষাঢ় ১৭ ১৪৩১
|| ২৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৮
৩৭১ কোটি টাকা
দুদক সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরসহ ২০টি দেশের ১০৬টি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের কাছে বিটিসিএলের পাওনা হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা পাওনা রয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জমির টেলিকম-এর কাছে। এই টাকার পরিমাণ ৩৭০ কোটি টাকা। যার কর্ণধার বিএনপি নেতা ও সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকারের ছেলে মো. নওফেল আরশাদ জমির। ইংল্যান্ড ভিত্তিক কোম্পানি জমির টেলিকম মূলত ইউরোপের কল বাংলাদেশে পাঠায়। ২০১০ সালে জমির টেলিকম আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ নিয়ে ইউরোপ থেকে কল বাংলাদেশে আনার দায়িত্ব পায়। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে নানা অজুহাতে অর্থ পরিশোধ না করে উল্টো বিটিসিএলের বিরুদ্ধে মামলা করে কালক্ষেপণ ও বকেয়া না-দেওয়ার পাঁয়তারা করেছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা
অভিযোগ ছিল ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সাথে জড়িত কিনা। দীর্ঘ ২ বছরের তদন্ত শেষে দুদক এর সত্যতা পায়।
যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার
জানা যায়, ২০০১-০৬ মেয়াদে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার ৭০০ কোটি টাকা যুক্তরাজ্যে পাচার করেন। এই অর্থ নিয়ে সেখানে জমির টেলিকম নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন।
সংসদের সম্পত্তি আত্মসাৎ
২০০৬ সালে স্পিকার হিসেবে পদত্যাগের পর সংসদ সচিবালয়ের মালপত্র ফেরত দিতে অস্বীকার করেছেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার। সরকার নির্ধারিত বেইলী রোডের বাসা থেকে তিন টন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এবং দুই টন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি অত্যাধুনিক এসি, একাধিক সোফাসেট, এক হাজার ভোল্টেজের একটি স্ট্যাবিলাইজার, বুকসেল্ফ, খাট, টেবিল, চেয়ার, ক্রোকারিজ, কার্পেট, ফুলদানি, ঝাড়বাতি, লাইট, ফ্যানসহ শতাধিক আসবাবপত্র পাওয়া যায়নি। এসবের আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি টাকা। ২০০৯ সালের জুন মাসে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঐ কমিটি মালপত্র ফেরতের জন্য বারবার তাগাদা দিলেও জমিরউদ্দীন তার কোন উত্তর দেননি।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়