শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮
গুজব থেকে রক্ষা পেলেন না জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও। বুধবার চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন এইচ এম এরশাদ। রাজধানীর ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের পক্ষে আছে দাবি করে, নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। সেই সাথে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের সিদ্ধান্তের বাইরে জাতীয় পার্টি থেকে আলাদাভাবে যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। মহাজোটের বাইরে আলাদা প্রার্থীদের বিষয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘মহাজোট মনোনীত যেসব প্রার্থী আছে, তারা ছাড়া অন্যদের সরে যেতে হবে। মহাজোটকে বিজয়ী করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’ দলীয় প্যাডে এক লিখিত এক বক্তব্যে এরশাদ এসব কথা বলেন।
এই সুযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) দলীয় প্যাড নকল করে বিএনপি জামায়াতের অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা গুজব ছড়ান “জাতীয় পার্টির কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে না, সবাইকে নির্বাচনের মাঠে থাকার নির্দেশ দেয়া হলো”। জাতীয় পার্টির দলীয় প্যাডে এইচ এম এরশাদের সাক্ষর কপি করে ভুল বানানে লিখা এই বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, ‘জেনে’ বানানকে ‘যেনে’ এবং ‘জাতীয় পার্টি’ কে ‘জাতয়ি পার্টি’ লিখা হয়।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এরশাদ এর প্রতিবাদ করে বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বক্তব্য ভুলভাবে প্রচারিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত মর্মাহত’। তিনি বলেন, ‘আমার শরীরটা ভালো না। আমার বোন শেখ হাসিনার জন্যই দেশে ফিরে এসেছি। আমি ঢাকা-১৭ আসনটি ছেড়ে দিয়েছি। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফারুককে সমর্থন দিয়েছি এবং মহাজোটের সিদ্ধান্তের বাইরে জাতীয় পার্টি থেকে আলাদাভাবে যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি”।
এবারের নির্বাচনে মহাজোট থেকে ২৯টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। যদিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২৬টি আসনের কথা। এর বাইরে আলাদাভাবে আরও ১৪০টি আসনে উন্মুক্ত প্রার্থী রাখার কথা জানায় জাতীয় পার্টি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নৌকা নয়, ধানের শীষ ঠেকাতেই এই প্রার্থী দেয়া হয়েছে। জাপা মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছিলেন, সব মিলিয়ে ১৭৪টি আসনে তাদের প্রার্থী রয়েছে। তবে গেল ১০ দিনে বিভিন্ন আসনে ১০ জনের বেশি প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর পর গতকাল মহাজোটের বাইরে সবাইকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়