শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নোয়াখালী ৫ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী। তার এবারের মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বাগবিতণ্ডা তৈরি হয়। কেননা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলামকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন যেন মওদুদ আহমেদকে মনোনয়ন এবছর দেয়া না হয়। ধারণা করা হয় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বারবার দল বদলের প্রবণতা থাকায় তাকে মনোনয়ন দেয়ার পক্ষপাতি ছিলেন না। স্থায়ী কমিটিতে এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হলে মির্জা ফখরুল এবং মওদুদ আহমেদ পরস্পর মুখোমুখি অবস্থানে চলে যান। এমতাবস্থায় দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তিনি সে সময়ই মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
গত ২৮ শে ডিসেম্বর মওদুদ আহমেদ এবং বরকত উল্লাহ বুলুর এক অডিও কলের রেকর্ড ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির পদ থেকে পরদিন মওদুদ আহমেদকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়। কিন্তু ২৯ শে ডিসেম্বরই মওদুদ তার পুরোনো দল জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন এবং তিনি মির্জা ফখরুল সম্পর্কে চমকপ্রদ আরো কিছু তথ্য দিলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেয়ার জন্য তারেক জিয়ার নির্দেশকে অমান্য করেছেন। তাছাড়া এহসানুল হক মিলন এবং তৈমুর আলম খন্দকারকে মনোনয়ন না দেয়ার পেছনে টাকার প্রভাব কাজ করেছে। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার প্রভাব থেকে দলের পুরো নিয়ন্ত্রণ তিনি নিজের হাতে নিতে চান।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়