শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
চলমান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রবিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। ভোট শুরু হওয়ার পর দুপুর ১২টার আগেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের কয়েকজন প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত রয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
ভোট গ্রহণের দিন সকাল থেকেই খবর পাওয়া গেছে, কুমিল্লা-১১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, খুলনা-৫ আসনে মিয়া গোলাম পরওয়ার, ফরিদপুর ২ (নগরকান্দা–শালথা) আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শায়মা ওবায়েদ, ঢাকা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলাম ভোট বর্জন করেছেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি’র একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই তারা ভোট বর্জন করতে পারেন। এদিকে, বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছেন ভোট বর্জনের। তারা সামগ্রিকভাবে ভোট বর্জনের চিন্তাভাবনা করছেন বলেও জানা যায়। যদিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, ভোটে শেষ পর্যন্ত লড়াই করার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেই। শেষ পর্যন্ত লড়াই করার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। যারা বর্জন করছেন, তারা হয়তো নিজ-নিজ এলাকার অবস্থার প্রেক্ষিতে বর্জন করছেন।’
নিজেদের জনসমর্থন হারিয়ে ভোট বর্জন করছেন বিএনপির প্রার্থীরা। অতীতের বিভিন্ন কুকর্ম করার কারণে তারা তাদের জনসমর্থন হারিয়েছেন। আর এই দোষ চাপাচ্ছেন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে। নিশ্চিত হার জেনে এই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়তারা করছে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়