বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||
আশ্বিন ৪ ১৪৩১
|| ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০১৮
বান্দরবান পার্বত্য জেলা ট্রাফিকের ট্রাফিক পরির্দশক (প্রশাসন) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন মামুন তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাসে (বার্তা) হেলামেট মাথায় দিয়ে কেন মোটর সাইকেল চালাব এমন একটি স্ট্যাটাস সাধারণ মানুষের সাত্তের্¡ সংবাদ আকারে প্রচার করা হলো। বর্তমানে সারা দেশে মোট যানবাহনের সংখ্যা ৩৩ লক্ষাধিক। এর মধ্যে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মোটর সাইকেলের সংখ্যা ২০ লাখের কাছাকাছি। শতকরা হিসাবে ৬০ ভাগেরও বেশি। এসব মোটরসাইকেলের মালিক/ চালক /স্কুল, কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী। পিতামাতার বোঝা হয়ে পড়া শিক্ষিত বেকার যুবক, কিংবা সদ্য কোন সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী ব্যক্তি। সন্তানের আবদার রক্ষা করতে গিয়ে দরিদ্র, নিন্মবিত্ত, নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের মা বাবারা মুখে হাসি ফুটানোর জন্য ধারদেনা করে, সম্পত্তি বিক্রি সন্তানের ঘোড়ারোগের আবদার রক্ষা করেছেন। তাঁরা আশায় বুক বাঁধেন, সন্তান একদিন লেখাপড়া শেষ করে প্রতিষ্ঠিত হবে, সংসারের হাল ধরবে, পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে। বুৃয়েট এর সড়ক দূর্ঘটনা গবেষনা ইনষ্টিটিউট (এআর আই) এর গবেষনা অনুসারে দেশের সড়ক মহাসড়কে প্রাণ হারানো মানুষের বেশির ভাগের বয়স ১৬-৪০ বছর। এতে সুস্পষ্ট দেশের জনগোষ্ঠীর তরুণ, কর্মক্ষম গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ দিচ্ছে। এই মৃত্যুমিছিলে মোটরসাইকেল আরোহীর সংখ্যাধিক্যতা সহজে অনুমেয়। সড়ক দূর্ঘটনার মত মর্মত্তদ ঘটনা হঠ্যাৎ করেই আপাদমস্তক একজন সুস্থ মানুষকে যেভাবে নেই করে দেয়, এ আকষ্মিক আঘাত মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। আর প্রাণ খোয়ানো মানুষটি যদি ঐ সদ্য সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী সংসারের একমাত্রকান্ডারী হন, তবেতো সাড়ে সর্বনাশ। নিজেতো মরলেনই, পরিবারের অন্য সদস্যদেরকেও ভাড়া মরণের খাতায় নাম লিখিয়ে গেলেন। সড়ক দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই কিংবা হাসপাতালে পৌছানোর পূর্বেই মৃত্যুর সংবাদ সিংহভাগ মোটরসাইকেল আরোহীর। এর প্রধান ও একমাত্র কারণ হেলমেট পরিধান না করা। মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় সর্বপ্রথম আঘাতটা আসে মাথায়, যা প্রধান অংঙ্গ। হেলমেট পরিহিত অবস্থায় থাকলে অন্তত জীবন নাশের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। সুতরাং হেলমেটটা নিজের নিরাপত্তার জন্য, নিজের জীবনটা রক্ষা করার জন্য। এখানে আইন বা আইন প্রয়োগের প্রশ্ন আসে কেন? আপনার খিদে পেলেতো পুলিশ এসে জোর করে আপনাকে খাইয়ে দিয়ে যেতে হয় না! রাস্তায় পুলিশ আপনার জীবন বাচাঁনোর জন্য হেলমেট পরার কথা বললে, মামলা দিয়ে সর্তক করতে চাইলে, আপনি বা আপনারা পুলিশকে বান্দরবান পোষ্টিংয়ের ভয় দেখান। যদিও আমার বর্তমান কর্মস্থল বান্দরবান পার্বত্য জেলায়। মানুষের জীবনতো একটাই। এই প্রাণ প্রদীপ নিভে গেলে তো সবই শেষ। নিজের জন্য, পরিবার পরিজনের জন্য সর্বোপরি বেঁচে থাকার জন্য মোটরবাইক চালনাকালে প্লিজ.. প্লিজ... প্লিজ হেলমেট পরিধান করুন।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়