শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের বিজয়ী দুই প্রার্থীর সংসদে অংশগ্রহণ নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। মতপার্থক্যের জের ধরে ভাঙনের মুখোমুখি অবস্থান করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপিসহ ঐক্যের অন্য শরিকরা চায় গণফোরামের বিজয়ী দুই প্রার্থী সংসদে না যাক। কিন্তু ডা. কামাল হোসেনের গণফোরাম চায় তার দলের বিজয়ী প্রার্থী সংসদে অংশগ্রহণ করুক। ডা. কামালের গণফোরাম চায় বিজয়ীরা সংসদে যাক। এমন দোটানার মধ্যে ড. কামালের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহও।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সংসদে যাওয়ার পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তো মনে করি, সংসদে যাওয়া এবং সংসদের বাইরে— দুই অবস্থাতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলন করা উচিত। সংসদে গিয়ে সরকারের নীতিগুলোর সমালোচনা করার সুযোগ কেন হারাতে হবে? ফলে গণফোরামের দুই বিজয়ী সংসদে অংশগ্রহণ করাকে আমি অন্য দৃষ্টিতে দেখবো না। বরং সাধুবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল বিএনপির ৫ জন আর গণফোরামের ২ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেও গণফোরামের ২ জন বিজয়ী সংসদে অংশগ্রহণ করুক এটা চায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল। ফ্রন্টের শরিক পাঁচ দলের মধ্যে বিএনপিসহ বাকি চার দলের নেতারা মনে করছেন, সমন্বিতভাবে একাদশ জাতীয় সংসদের ফল প্রত্যাখ্যান এবং পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলার পর সংসদে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। যদি এমন হয় তবে তা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।
এমন প্রেক্ষাপটে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে অবিশ্বাসের চোখে দেখছেন শরিক নেতারা। তাদের ভাষ্য, ফ্রন্টের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নিলে স্বাভাবিকভাবেই ঐক্যফ্রন্টের ঐক্যে প্রভাব পড়বে এবং ভাঙন ধরবে। এর মধ্যে ড. কামালের দুরভিসন্ধি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গণফোরামের দুজন সদস্য শপথ নিলে তা হবে আত্মঘাতী। বিশেষ করে বিতর্কিত নির্বাচনের পর ফল প্রত্যাখ্যান করে সংসদে গেলে রাজনীতিরই আর কী থাকে! সেক্ষেত্রে নতুন নির্বাচনের দাবি করার পাশাপাশি রাজপথে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে না তুলে সংসদে অংশ নিলেও ফল প্রত্যাখ্যানের কোনও যৌক্তিকতা থাকে না।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়