শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট আবারও সরকার গঠন করল। নির্বাচনে এমন অর্জনের পর সবার মনেই প্রশ্ন ছিল কেমন হবে নতুন মন্ত্রিসভা? পুরোনোরাই কি থেকে যাবেন, নাকি নতুন চমক দেখা যাবে? তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘সমৃদ্ধ অগ্রযাত্রার বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকারে অবিস্মরণীয় বিজয়ের যোদ্ধা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৭ সদস্যের তারুণ্য নির্ভর চমকের মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বঙ্গভবনের দরবার হলে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রথমে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করে চতুর্থবারের মতো এবং টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরে তিন দফায় ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ উপমন্ত্রী শপথগ্রহণ করেন। শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রবীণের অভিজ্ঞতা ও কিছু নবীনের প্রতিভার সংমিশ্রণ ঘটিয়েই চমক সৃষ্টির নতুন মন্ত্রিসভা দেশবাসীকে উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নবীন-প্রবীণের এ সংমিশ্রণকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন বিশিষ্টজন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কিছু নতুন মুখ মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার পাশাপাশি স্বপ্ন পূরণের বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্ত দেশকে আগামীতে আরও সমৃদ্ধির পথে সম্মানের সাথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজন। বিশিষ্টজনের মতে, সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত হওয়ার ওপরই নির্ভর করছে নতুন সরকারের সাফল্য। এদিকেও মন্ত্রিসভার সদস্যরা যত্নবান থাকবেন বলেও মনে করেন তারা।
প্রায় সব হেভিওয়েট নেতাকেই সাইড লাইনে রেখে কিছু প্রবীণ, আর অধিকাংশ তারুণ্যেনির্ভর নবীন নতুন মুখকেই মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে সারাদেশে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার আগের মন্ত্রিসভার ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রীই বাদ পড়েছেন। কেবল পূর্ণ মন্ত্রী নয়, প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেও বড় একটি অংশ এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি, তাদের সংখ্যা ৯ জন। নতুন মন্ত্রিসভায় ২৭ জনই নতুন মুখ। এই নতুনদের ওপর আস্থা রেখেই চমকের মন্ত্রিসভা নিয়ে চতুর্থবারের মতো গঠিত সরকারের যাত্রার সূচনা করলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনেকেই মনে করেন সরকার পরিচালনায় জন্য অভিজ্ঞতার দরকার হয়, নতুনদের অভিজ্ঞতা কম বিবেচনায় মন্ত্রিত্বের জন্য অভিজ্ঞতা খুব জরুরি কিছু নয়। কারণ মন্ত্রিত্বের পূর্ব অভিজ্ঞতা খুব বেশি মানুষের থাকে না। বরং নতুন মন্ত্রী হয়েও যদি দক্ষতা, সততায় নতুন কিছু করে দেখাতে পারেন সেটাই বরং অনেক বেশি ইতিবাচক হবে জাতির জন্য। তারই একটা শুভ সূচনা এই তারুণ্য নির্ভর মন্ত্রিসভা।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়