১০ জানুয়ারীঃ একজন আলোর বাতিঘরের ফিরে আসা
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০১৯
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেন বাঙালির প্রাণ। বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলা কেউ কি কল্পনা করতে পারে কোনো দিন! সে কারণেই বোধ করি বিবিসি শ্রোতারা বঙ্গবন্ধুকে শ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত করেছেন; তার নিকটতম শ্রেষ্ঠ বাঙালির চেয়ে দ্বিগুণ ভোট দিয়ে। কূট ও কুতর্কের মাধ্যমে যারা বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাদের কথা বাদ দিলে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এ দেশের প্রতিটি মানুষ বিশ্বাস করে, তিনিই আমাদের উপহার দিয়েছেন বহুযুগের কাঙ্খিত স্বাধীনতা। অতীতের সব বীরত্ব, মহত্ত্ব ও কৃতিত্বকে ধারণ করে একটি গর্বিত জাতির উত্থানে তিনি মহানায়ক।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হলেও বাঙালী জাতির মনে ছিল না স্বস্তি, বিজয়ের আনন্দ। পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী জাতির জনকের ভাগ্যে কী আছে- এ নিয়ে এ ভূখন্ডের প্রতিটি মানুষ ছিল বিচলিত, আতঙ্কিত। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। পরে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দীদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পরাজিত পাকি নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো নিজে বঙ্গবন্ধুকে বিমানে তুলে দেন অবনত মস্তকে।
জাতির জনক পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে। এদিন বঙ্গবন্ধু পিআইয়ের একটি বিশেষ বিমানে তুলে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি পৌঁছান লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে। সেখানে তাকে দেয়া হয় ঐতিহাসিক অভ্যর্থনা। বেলা ১০টার পর থেকে তিনি কথা বলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এ্যাডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন বঙ্গবন্ধু।
পাকিস্তান থেকে সরাসরি ভারত হয়ে বাংলাদেশে না আসার ঘটনায়ই লুকিয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শীতার নজির। অথচ এটিই ছিল সহজতম রাস্তা। কিন্তু আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করা বঙ্গবন্ধু দুর্জনের কোনো অপব্যাখা পেতে চাননি। তাই কেউ যাতে তাকে ‘ভারতের আজ্ঞাবহ’ আখ্যায়িত করে মিথ্যা অপবাদ দিতে না পারে, সেজন্যই এ পদক্ষেপ।
লন্ডনে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু বলেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে বিচারের নামে এক প্রহসন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শুনানি অর্ধেক সমাপ্ত হবার পর পাক কর্তৃপক্ষ আমার পক্ষ সমর্থনের জন্যে একজন আইনজীবী নিয়োগ করে। আমি কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে দেশদ্রোহীর কলঙ্ক নিয়ে মৃত্যুদণ্ডের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু সবচেয়ে বিস্ময়কর, আমার বিচারের জন্যে যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল তার রায় কখনো প্রকাশ করা হবে না। পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বিচারের নামে প্রহসন অনুষ্ঠান করে আমাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর ফন্দি এঁটেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের জনগণের মতো এত উচ্চমূল্য, এত ভয়াবহ ও বিভীষিকাময় জীবন ও দুর্ভোগ আর কোনো মানুষকে ভোগ করতে হয় নাই। বাংলাদেশে নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দায়ী। হিটলার যদি আজ বেঁচে থাকত, বাংলাদেশের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড দেখে সেও লজ্জা পেত। আমি আর এক মুহূর্ত এখানে থাকতে রাজি নই। আমি আমার জনগণের কাছে ফিরে যেতে চাই।’
লন্ডন থেকে রওনা হয়ে ১০ জানুয়ারি সকালেই বঙ্গবন্ধু নামেন দিল্লীতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, প্রধান নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সে দেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। বাঁধভাঙা জোয়ারের ন্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ছুটে আসেন বঙ্গবন্ধুকে একনজর দেখতে। বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
দিল্লি হতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী হলেন কূটনীতিবিদ ফারুক চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমান কখন আসবে সেই অপেক্ষায় ঢাকার বিমান বন্দরে তখন লাখো জনতার ভিড়। ব্রিটিশ চালক ঠিক বুঝতে পারছিলেন না তিনি কেমন করে সেই পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরে তার বিমান নিয়ে অবতরণ করবেন। বিমানের সিটে বসা বঙ্গবন্ধু তখন মাথায় হাত দিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন। ফারুক চৌধুরী তাঁর কাছে গিয়ে বললেন জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতে। ফারুক চৌধুরী তাঁর স্মৃতি কথায় লিখেছেন বঙ্গবন্ধু বাইরে তাকিয়ে শুধু একটি বাক্য উচ্চারণ করলেন, ‘এতো মানুষকে আমি খাওয়াবো কোথা থেকে?’ জনমানুষের নেতার কী অসাধারণ চিন্তা!
১০ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে জাতির মহানায়ক বাংলার মুক্ত মাটিতে পা রাখলেন। স্বদেশের পবিত্র মাটি স্পর্শ করে বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবেগে আপ্লুত হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামল তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালী আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ বাতাস।
ওই দিনের একটি ছবি বাংলার মানুষের কাছে চিরদিন মনে থাকবে। বঙ্গবন্ধু জড়িয়ে ধরছেন তাজউদ্দীনকে, ত্যাগ ও স্বপ্নমাখা আবেগে দুজনের সঙ্গে সারা দেশের মানুষ কাঁদছে। আনন্দের বন্যায় চোখের পানি তখন যেন বাংলার পবিত্র মাটিকে শপথের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে গিয়েছিল।
ওইদিন তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে খোলা গাড়িতে বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল আড়াই ঘণ্টা। আর রেসকোর্স ছিল লোকে লোকারণ্য। একটুও বিশ্রাম না নিয়ে কোনো প্রস্তুতি না নিয়ে ১৭ মিনিটের ওই আবেগময় ও গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ কেবল দেশবাসীর জন্যই দিকনিদের্শনামূলক ছিল না, বিশ্ববাসীর জন্যও ছিল নবজাত বাংলাদেশের অবস্থান ও ভূমিকা তুলে ধরার দিক থেকে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। ওই বক্তৃতার ভেতর দিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতির জীবনের সব ব্যথা-বেদনা ও প্রত্যাশা-স্বপ্নকে তুলে ধরেছিলেন। এই বক্তৃতা আবারো প্রমাণ করেছে, প্রকৃত নেতাই আসলে ধারণ করতে পারেন মানুষের মনের আকুতি, মনের কথা। পাকিস্তানিরা জাতির পিতাকে গণবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল কিন্তু বক্তৃতা শুনে মনে হয়েছিল সুদূর পাকিস্তানে বন্দি থাকলেও তিনি ছিলেন জনগণের সঙ্গেই। বাংলাদেশের জন্মের উৎসমুখের ওই বক্তৃতার জন্য বাঙালি জাতি প্রকৃত বিচারেই গর্ব করতে পারে। ১০ জানুয়ারি ওই বক্তৃতাটির জন্যও ইতিহাসে অমোচনীয় কালিতে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
ক্ষমতা মানে যে নবজাত বাংলাদেশের শাসকদলের কাছে জনসেবা দেশসেবা, তা তিনি প্রথম বক্তৃতায় পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রথমেই বলছিলেন, ‘আজ থেকে আমার আদেশ, আজ থেকে আমার হুকুম ভাই হিসেবে, নেতা হিসেবে নয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়…।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ‘অপরিবর্তনীয়’ এই কথা বলে তিনি বলেছিলেন, ‘এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়। এই স্বাধীনতা পূর্ণ হবে না যদি আমার বাংলার মা-বোনেরা ইজ্জত ও কাপড় না পায়। … এই স্বাধীনতা পূর্ণ হবে না যদি এ দেশের মানুষ, যারা আমার যুবক শ্রেণি আছে তারা চাকুরি না পায়, কাজ না পায়।’
দেশের উন্নয়নের বিষয় সামনে রেখে এই মহানুভব মানুষটি বলেছিলেন, ‘যথেষ্ট কাজ পড়ে রয়েছে।’ তিনি বলেছিলেন, ‘এই বাংলাদেশে হবে সমাজতন্ত্র ব্যবস্থা, এই বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্র, এই দেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।’
গভীর প্রত্যয় নিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বীরদৃপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘…আসার সময় দিল্লিতে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে যে সময় আলোচনা হয়েছে।… যেদিন আমি বলব সেই দিন ভারতের সৈন্য বাংলার মাটি ছেড়ে চলে যাবে।’ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি দেখিয়ে দেবার চাই দুনিয়ার কাছে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি রক্ত দিতে জানে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি শান্তি বজায় রাখতে জানে।’ মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনার উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আজ আমার কারো বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা নাই। একটা মানুষকেও তোমরা কিছু বলো না, অন্যায় যে করেছে তাকে সাজা দিব। আইন তোমরা হাতে নিও না।’ নবজাত দেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়টি সামনে রখে তিনি বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রথম দিনেই কতটা দূরদৃষ্টি ও প্রত্যয় নিয়ে তিনি কথাগুলো বলেছিলেন, তা ভাবলে বিস্মিত হতে হয়।
ভাষণের সবচেয়ে মর্মস্পর্শী দিক ছিল পকিস্তানের কারাগারের স্মৃতিচারণ। বাঙালি জাতি ও বাংলাভাষার ওপর মমত্ববোধ ওই বক্তৃতার ভেতর দিয়ে সারা বাংলার মানুষকে দলিত মথিত জাগ্রত করে তুলেছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার সেলের পাশে আমার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছিল। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম। বলেছিলাম, আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, একবার মরে দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম, আমার মৃত্যু যদি এসে থাকে তাহলে আমি হাসতে হাসতে যাব। আমার বাঙালি জাতিকে অপমান করে যাব না। তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইব না এবং যাবার সময় বলে যাব, জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।’
জাতির পিতা চেখের পানি মুছে বলেছিলেন, ‘…যেখানে রাস্তা ভেঙে গেছে, নিজেরা রাস্তা করতে শুরু করে দেও। আমি চাই জমিতে যাও, ধান বুনো। কর্মচারীদের বলে দেবার চাই, একজন ঘুষ খাবেন না, আমি ক্ষমা করব না।’ মানুষের প্রতি বিশ্বাস রেখে বাঙালি ‘মানুষ হয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি কবিগুরুকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘তোমার আক্ষেপকে আমরা মোচন করেছি। তোমার কথা মিথ্যা প্রমাণ করে আজ ৭ কোটি বাঙালি যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে। বিশ্বকবি তুমি আজ জীবিত থাকলে বাঙালির বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে নতুন কবিতা সৃষ্টি করতে।’ পর দিন সাংবাদিকরা জাতির পিতাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এই মুহূর্তে দেশবাসীর প্রতি আপনার বাণী কি? তিনি কবিগুরুর দ্বারস্থ হয়ে বলেছিলেন, ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ভয় নাই ওরে ভয় নাই/নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
ওই দিনের পর অনেক বছর পার হয়েছে। পদ্মা মেঘনা যমুনা কর্ণফুলী দিয়ে বহু পানি বঙ্গোপসাগরে নিপতিত হয়েছে। পেছন ফিরে তাকালে সেই দিনে স্বদেশের স্বাধীন মাটিতে পা রেখে জাতির হাজার বছরের এই শ্রেষ্ঠ সন্তানটির মনের অবস্থা, রাজনৈতিক অবস্থান, দেশের জন্য তিনি কী করতে চেয়েছিলেন, দেশবাসীকে কী দিকনির্দেশনা দিতে চেয়েছিলেন, তা সুস্পষ্ট হয়ে যায়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে নানা প্রতিক‚লতা ও পরাজিত দেশি- বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তর মধ্যে ওই দিনের বক্তৃতার দিকনির্দেশনার প্রতি অবিচল থেকেই তিনি নবজাত রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় অগ্রসর হচ্ছিলেন। পরাধীনতা থেকে স্বাধীনতার স্বাদই কেবল নয়, রাষ্ট্র ও সমাজের নতুন ভিত সৃষ্টির সব কিছু তিনি দেশবাসীকে উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু অমোঘ সত্যের মতো তিনি যে কথা বলেছিলেন, জীবন দিয়ে সেই সত্যেরই প্রমাণ দিয়েছেন। ঘাতকের নিষ্ঠুর বুলেটে তিনি নিঃশেষে প্রাণ দিয়ে গেছেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতি বিজড়িত দিবসটি আজ যখন পালিত হচ্ছে, তখনো দেখা যাবে পরাজিত শত্রুর ধারক-বাহক বাঙালি জাতির কলঙ্ক বলে চিহ্নিত একাংশ বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রতি অস্বীকৃতি জানাবে, বঙ্গবন্ধুকে স্বমর্যদার আসনে প্রতিষ্ঠিত না করে অবমূল্যায়নের প্রচেষ্টা চালাবে। জাতি এই পবিত্র দিনে জানাবে ওই সব মীরজাফর বংশীয়দের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ। রাষ্ট্র ও সমাজজীবন থেকে এসব পরাজিতদের চির নির্বাসনের জন্য জাতি এই দিনে শপথ নেবে।
- শৈলশোভা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত্যুবরনকারী শ্রমিকদের পরিবারের মাঝে অনুদান প্রদান
- পাহাড় অক্ষত রেখে পর্যটন বিকাশ করুন- বিশ্ব পর্যটন দিবসে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন
- বান্দরবানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার ৩২ জনের জামিন
- গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল সরকার
- খাগড়াছড়ি সহিসংতার ঘটনায় বান্দরবানে বিক্ষোভ
- রাঙামাটিতে সংঘর্ষে একজন নিহত
- পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর
- বান্দরবানে সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধান,বিজিবি`র অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার
- খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় নিহত ৩
- রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
- দুই পার্বত্য জেলায় ১৪৪ ধারা জারি
- রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচরণে গুণগত পরিবর্তন জরুরি: তারেক
- সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ
- বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানিতে বড় পতন
- জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ইউরো দেবে জার্মানি
- বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের
- দুই মাসের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
- জুমের ধান কাটা শুরু, সবুজ পাহাড়ে
- ৬০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বান্দরবানে বিজ্ঞান মেলা
- হারানো মোবাইল ও ভূলক্রমে বিকাশে ও নগদে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে হস্তান্তর করলো এপিবিএন
- বান্দরবানে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন
- বান্দরবান চেম্বার অব কমার্স এর সেক্রেটারির স্বাক্ষর কারিশমায় একক আধিপত্য
- সংস্কারের পর নির্বাচন
- তদন্তে সম্পৃক্ততা না পেলে মামলা থেকে নাম বাদ
- দুর্গোৎসবে ইলিশ খাবে বাংলাদেশিরা
- জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল’ আজ তদন্তে নামছে
- সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের জন্য চালু হলো ই-পাসপোর্ট
- ১০ দিনে উদ্ধার ১৪৪ আগ্নেয়াস্ত্র গ্রেফতার ৬৪
- শহীদদের তালিকা যাচাইয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটি
- আওয়ামীলীগের সাথে আতাতের অভিযোগ বান্দরবান বিএনপির মিঠুন-মাবুদের,গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
- শিগগির সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- ফের ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
- খাগড়াছড়ি সহিসংতার ঘটনায় বান্দরবানে বিক্ষোভ
- আওয়ামীলীগের সাথে আতাতের অভিযোগ বান্দরবান বিএনপির মিঠুন-মাবুদের,গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
- বান্দরবান চেম্বার অব কমার্স এর সেক্রেটারির স্বাক্ষর কারিশমায় একক আধিপত্য
- বান্দরবানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার ৩২ জনের জামিন
- পাহাড় অক্ষত রেখে পর্যটন বিকাশ করুন- বিশ্ব পর্যটন দিবসে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন
- তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে
- হারানো মোবাইল ও ভূলক্রমে বিকাশে ও নগদে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে হস্তান্তর করলো এপিবিএন
- রুমায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কলম্বিয়ার প্রতিশোধ
- টিভিতে আজকের খেলা
- পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ বাতিলের দাবি
- বান্দরবানে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
- রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচরণে গুণগত পরিবর্তন জরুরি: তারেক
- সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের জন্য চালু হলো ই-পাসপোর্ট
- ১৩১ নম্বরে ফোন করলে মিলবে রেলের তথ্য ও সেবা
- বান্দরবানে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত
- দাম কমাতে আলু ও পেঁয়াজের শুল্ক-কর কমানোর উদ্যোগ
- সৌর বিদ্যুতের ৩১ প্রকল্প বাতিল