মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪ ||
আষাঢ় ১৭ ১৪৩১
|| ২৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮
বর্তমানে জাহাজ নির্মাণ বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় এবং ক্রমবিকাশমান শিল্প। নদী পথেই দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের সিংহভাগ প্রবাহিত হয়। নয় বছর আগেও দেশে রেজিস্ট্রিকৃত অভ্যন্তরীণ নৌযানের সংখ্যা ছিল প্রায় ছয় হাজার। কিন্তু দিন বদলের পালায় হাওয়া লেগেছে দেশের জাহাজ শিল্পেও। বর্তমানে নৌ খাতে উন্নয়নের মাধ্যমে নৌ পরিবহনে বর্তমানে রেজিস্ট্রিকৃত নৌ পরিবহনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার। যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। প্রায় ১১.৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌ রুটে মোট ৩২ কোটি ৭৬ লক্ষ ঘনমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় বিগত নয় বছরে এক হাজার ১০০ কিলোমিটার নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার নদীসমূহের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য ১৫ বছরের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ করছে।
জাহাজ নির্মাণ শিল্প সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তৈরি পোশাক শিল্পের মতো আরো একটি প্রধান রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে গুণগত মানসম্মত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি মোট ২৭টি জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে ১৫০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে।
বর্তমানে দেশে রয়েছে ১০টিরও বেশি শিপইয়ার্ড, যারা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও উচ্চ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ জাহাজ নির্মাণে সক্ষম। বিশ্বে জাহাজ নির্মাণ বাজারের মোট পরিমাণ এক হাজার ৬০০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে এই শিল্পে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার কর্মী নিয়োজিত আছে। নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত দেশের নারায়ণগঞ্জ, খুলনা শিপইয়ার্ডে এরই মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে যুদ্ধ জাহাজ। চট্টগ্রাম ড্রাইডকেও যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার।
নদী বেষ্টিত অঞ্চল হওয়ায় বাংলাদেশে রয়েছে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের অপার সম্ভাবনা। দেশে রপ্তানি শিল্প খাত আরো প্রসারিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিশেষ নজর দিচ্ছে নতুন উদ্ভাবিত এই শিল্পটিকে। অচিরেই পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প, চামড়া শিল্পের পাশাপাশি জাহাজ শিল্পও বিশ্বের বাণিজ্য বাজারে উজ্জ্বল করবে বাংলাদেশের নাম।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়