কেন এ জনপ্রিয়তা !!!
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০১৯
আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের এত জনপ্রিয়তা কেন? সে প্রশ্নের উত্তর খুব সোজা, তবে উত্তর খুঁজতে হলে একটু পিছিয়ে গিয়ে ইতিহাসের পাতায় চোঁখ দিতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ ভূমিকা রেখেছে এদেশের প্রতিটি ইতিহাসে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এই সংগঠনটির নামাকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে দলটির নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সংগ্রাম করে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে। এর পর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে জয়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তার জয়ের ধারা অব্যহত রাখে।
বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে আওয়ামী লীগের ভূমিকা
১৯৫২ সালে বাঙালির প্রাণের দাবি ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ৫৪ এর যুক্তফ্রন্টের নেতৃত্ব, ৬২ এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব, ৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন সহ বাঙালির স্বাধিকার রক্ষা আর স্বাধীনতার কেন্দ্রবিন্দুতে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকায় সবসময়ই ছিল এই দলটি।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতিক সংগ্রামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আইয়ুব খান সরকারের পতন ঘটে এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। এই সময়ে শেখ মুজিব এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ আরো কিছু ছাত্র সংগঠন এক সাথে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে তাদের ঐতিহাসিক এগারো দফা কর্মসূচী পেশ করেন যা মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সহায়তা করে।
আওয়ামী লীগকে বলা হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল অনুপ্রেরণা ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ। এছাড়া ২৫ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও আসে শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সম্মুখ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী। এ ছাড়া তৎকালীন সময়ে বিদেশে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরীতে কাজ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করা হয় যা ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে পরিচিত। এই মুজিবনগর সরকারই পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল সংগঠকের ভূমিকা পালন করে।
উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগ
সরকারের টানা দশ বছরে দেশের রাজনীতিসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ শেখ হাসিনার হাতে থাকলেও সে পথ মসৃণ ছিল না। জ্বালাও-পোড়াও, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাসহ দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র, বাধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগোতে হয়েছে।
বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি, খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এমন কোনো খাত নেই যে খাতে অগ্রগতি সাধিত হয়নি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, মাতৃত্ব এবং শিশু স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মার ওপর ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করার সাহস দেখিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পর বিশাল এ প্রকল্প হাতে নেয়ার ঘটনা অনেক দেশ ও সংস্থার সন্দেহ ও বিস্ময় প্রকাশ করলেও সে স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান।
বিশ্বের ৫৭তম রাষ্ট্র হিসেবে মহাকাশে ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হিসেবে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি অনন্য মাইলফলক। মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবায়নের সকল কৃতিত্ব ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে বাংলাদেশ। গত বছরের ৩০ নভেম্বরের পর থেকে দেশ এখন বিশ্বের ৩১টি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের তালিকায়। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগও চলমান।
এ ছাড়া মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেসহ আরো কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। দেশের প্রথম ৬ লেনের ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে গত কয়েক বছরে ডিজিটাইজেশনে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করছে। বর্তমান সরকারের শাসন আমলেই কোনো রকম যুদ্ধ-সংঘাত বা বৈরিতা ছাড়াই দুই প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র বিজয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সব কিছু ছাপিয়ে বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিৎসার দায়িত্বও পালন করছে। জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশ ও সংস্থা এই ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে পাশে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছেন ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’ উপাধি।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে দিনবদলের সনদ-এর প্রতিশ্রুতি নিয়ে যে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহার-২০০৮’ ঘোষণা করা হয়েছিল, তার বরখেলাপ আওয়ামী লীগ করেনি। কেউ কথা না রাখলেও, আওয়ামী লীগ কথা রেখেছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার এই বাংলার মাটিতে করেই ছেড়েছে। বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ ও গোষ্ঠীর চাপ সত্ত্বেও শীর্ষস্থানীয় অপরাধীদের বিচার শেষে রায় কার্যকর করা হয়েছে। এই বিচার করতে পারা স্বাধীন বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য।
আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু তার আদর্শের বাতিঘর আওয়ামী লীগ আছে। এই বাতিঘরের আলোয় আমাদের পথকে আলোকিত করে আরও সামনের দিকে নিয়ে যাবে। গণতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র আদর্শ চেতনায় ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ আমাদের সোনার বাংলাকে একটি আধুনিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্ররূপে গড়ে তুলবে।
- শৈলশোভা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত্যুবরনকারী শ্রমিকদের পরিবারের মাঝে অনুদান প্রদান
- পাহাড় অক্ষত রেখে পর্যটন বিকাশ করুন- বিশ্ব পর্যটন দিবসে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন
- বান্দরবানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার ৩২ জনের জামিন
- গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল সরকার
- খাগড়াছড়ি সহিসংতার ঘটনায় বান্দরবানে বিক্ষোভ
- রাঙামাটিতে সংঘর্ষে একজন নিহত
- পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর
- বান্দরবানে সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধান,বিজিবি`র অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার
- খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় নিহত ৩
- রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
- দুই পার্বত্য জেলায় ১৪৪ ধারা জারি
- রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচরণে গুণগত পরিবর্তন জরুরি: তারেক
- সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ
- বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানিতে বড় পতন
- জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ইউরো দেবে জার্মানি
- বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের
- দুই মাসের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
- জুমের ধান কাটা শুরু, সবুজ পাহাড়ে
- ৬০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বান্দরবানে বিজ্ঞান মেলা
- হারানো মোবাইল ও ভূলক্রমে বিকাশে ও নগদে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে হস্তান্তর করলো এপিবিএন
- বান্দরবানে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন
- বান্দরবান চেম্বার অব কমার্স এর সেক্রেটারির স্বাক্ষর কারিশমায় একক আধিপত্য
- সংস্কারের পর নির্বাচন
- তদন্তে সম্পৃক্ততা না পেলে মামলা থেকে নাম বাদ
- দুর্গোৎসবে ইলিশ খাবে বাংলাদেশিরা
- জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল’ আজ তদন্তে নামছে
- সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের জন্য চালু হলো ই-পাসপোর্ট
- ১০ দিনে উদ্ধার ১৪৪ আগ্নেয়াস্ত্র গ্রেফতার ৬৪
- শহীদদের তালিকা যাচাইয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটি
- আওয়ামীলীগের সাথে আতাতের অভিযোগ বান্দরবান বিএনপির মিঠুন-মাবুদের,গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
- শিগগির সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- ফের ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
- খাগড়াছড়ি সহিসংতার ঘটনায় বান্দরবানে বিক্ষোভ
- আওয়ামীলীগের সাথে আতাতের অভিযোগ বান্দরবান বিএনপির মিঠুন-মাবুদের,গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
- বান্দরবান চেম্বার অব কমার্স এর সেক্রেটারির স্বাক্ষর কারিশমায় একক আধিপত্য
- বান্দরবানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার ৩২ জনের জামিন
- পাহাড় অক্ষত রেখে পর্যটন বিকাশ করুন- বিশ্ব পর্যটন দিবসে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন
- তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে
- হারানো মোবাইল ও ভূলক্রমে বিকাশে ও নগদে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে হস্তান্তর করলো এপিবিএন
- রুমায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কলম্বিয়ার প্রতিশোধ
- টিভিতে আজকের খেলা
- পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ বাতিলের দাবি
- বান্দরবানে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
- রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচরণে গুণগত পরিবর্তন জরুরি: তারেক
- সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের জন্য চালু হলো ই-পাসপোর্ট
- ১৩১ নম্বরে ফোন করলে মিলবে রেলের তথ্য ও সেবা
- বান্দরবানে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত
- দাম কমাতে আলু ও পেঁয়াজের শুল্ক-কর কমানোর উদ্যোগ
- সৌর বিদ্যুতের ৩১ প্রকল্প বাতিল