শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০১৯
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি তথা সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীচক্র বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সে স্বপ্ন স্তব্ধ করে দেয়। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের চাকা উল্টোপথে চলতে শুরু করে। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেন। বাংলাদেশ এগুতে থাকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে। ২০০১ সালে এ ধারা থেমে গেলেও ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে যতবার আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট বিপ্লব হয়েছে প্রতিবারই ভোটার উপস্থিতি ছিলো ৮০ ভাগের বেশি। অবিভক্ত পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের শেষ নির্বাচনে ১৯৭০ সালে জনপ্রিয় দল হিসেবে ভোট বিপ্লব ঘটায় আওয়ামী লীগ। তৎকালীন সরকার জানায় নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ করে এবং প্রায় ৬৫% ভোট প্রদান করে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মোট ৩০০ আসনের ২৮৮ আসনে বিজয়ী হয়।
একাদশতম জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় লাভ করে। সেবার নতুন ভোটাররা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করে এবং ভোটে সেই ফলাফল স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। এই নির্বাচনে মোট ভোটারের ৮৭.১৩% ভোট প্রদান করে। বাংলাদেশের জন্য এটি সর্বোচ্চ ভোটারের অংশগ্রহণের রেকর্ড। আর একাদশতম জাতীয় নির্বাচন সেই হিসেব অনুসারে দ্বিতীয়। এর আগে ২০০১ সালের নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের অনুপাত ছিলো মোট ভোটারের ৭৫.৫৯ ভাগ। বিতর্কিত ওই নির্বাচনে মোট ভোটার উপস্থিতি থেকে বেশি ভোট প্রদান দেখানো হয়। ১৯৯৬ সালের বিতর্কিত ও বাতিল নির্বাচনে ভোট দেয় ২৬.৫ শতাংশ ভোটার এবং পরবর্তী নির্বাচন ৭৪.৯৬ ভাগ। অর্থাৎ যতবারই আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে ভোটার উপস্থিতি ছিলো ৭০ ভাগের বেশি। ১৯৯১ সালে মাত্র ৫৫.৪৫ ভাগ ভোটার নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছিল।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়