শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০১৯
বাংলাদেশের সর্বশেষ আসন ৩০০ নং বান্দরবন। বান্দরবান একটি শান্তি ও সম্প্রীতির জেলা। এই জেলায় বাঙ্গালী সহ মোট ১২টি সম্প্রদায়ের বসাবাস। অন্যদিকে বীর বাহাদুর উশৈসিং এর দেশের সর্বশেষ আসন বলে খ্যাত বান্দরবান ৩০০ নং আসন। আবার অনেকেই বলেন বান্দরবান আওয়ামীলীগের ঘাটি। আর আজ সত্যি ই সেই ঘাটিটা আবার প্রামাণ হয়ে গেল বান্দরবানে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬ষ্টবারের মত বিজয়ী হলেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির প্রথীক বীর বাহাদুর উশৈসিং। এবার সহ তিনি বান্দরবান পার্বত্য জেলা থেকে ৬ষ্ঠ বারের মত নির্বাচিত সংসদ সদস্য হলেন। বান্দরবানের সাধারণ মানুষ মনে করেন বীর বাহাদুর মানে-ই উন্নয়ন,বীর বাহাদুর মানে-ই শান্তি ,বীর বাহাদুর মানে-ই সম্প্রীতি। তাই তো বান্দরবানের সাধারণ ভোটাররা ৩০ ডিসেম্বর তারিখে বিপুল ভোটরে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বীর বাহাদুর উশৈসিং কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। বান্দরবানের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতিতে বিশ^াসী তাই তো বান্দরবানের যুদ্ধাপরাধীকে প্রত্যাখান করে উন্নয়নের কারিগরকে বেচে নিলেন বান্দরবানের সাধারণ ভোটাররা। বান্দরবানের মানুষ চাই শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়ন তাই তো তারা উন্নয়নেসর ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তিকে রায় দিল বান্দরবানের সাধারণ ভোটাররা। অন্যদিকে উল্লেখ্য যে বান্দরবানের সুশীল সমাজের নাগরিকরা বলছেন, একটি স্বাধীন দেশে কি করে একজন রাজাকারের উত্তরসূরী ও রাজাকার নিবার্চন করতে পারে এটা আমাদের নজর কাটছে। এতোদিন তো আমরা অনেকেই জানতাম না যে জেরী বাবু রাজাকারের বংশদর। এতোদিন বিএনপির প্রার্থীর সাচিং প্রæ জেরীর প্রতি আমাদের একটি সুদৃঢ় বিশ^াস কাজ করছিল কিন্তু এতোদিন জানতাম না তিনি একজন স্বাধীনতা বিরোধী লোক তাই তো আজ বান্দরবানের মানুষ উন্নয়নকে বেচে নিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিএনপি নেতা বলেন, আমি বিএনপিকে ভালোবেসে বিএনপি রাজনীতি করতাম। কিন্তু আজকে আমি নিজেকে অনেক লজ্জিত মনে করছি । করণ আমি এতোদিন একজন স্বাধীনতা বিরোধী নেতার পিছনে হেঁটেছি। আজ থেকে আমি বিএনপি রাজনীতিকে বাই !বাই! জানাই। তিনি আরো জানান, র্দীর্ঘ দিন বান্দরবানে বিএনপি রাজনীতি করেছি কখনো নিজেরর স্বার্থ খুজি নাই । অথচ নিজের পকেটের টাকা দিয়ে রাজনীতি করেছি পাই নি কোন সুযোগ সুবিধা। পাই নি দলের বড় কোন স্থানে পদ পদবী। পদ পদবী বিক্রিয় হয় বান্দরবানের বিএনপি রাজনীতিতে। টাকা যে বেশি দেয় সেই হয় রাজনীতির বড় পদের অধিকারী। আর যারা সাদিন মাঠে পড়ে রাজনীতি করে তাদের কোন মূল্যায়ন নেই জেরীর রাজনীতিতে। তাই আমি একজন স্বাধীনতা বিরোধীকে ভোট না দিয়ে আমার মূল্যাবান ভোটটি স্বাধীনতার পক্ষে দিলাম।
বিএনপি রাজনীতি ত্যাগ করে সাধারণের কাতারে আসা কামাল হোসেন পাপ্পি বলেন, জেরী বাবু রাজাকার সেটা জানার পর থেকে আমি রাজনীতিকে বাই ! বাই ! দিয়েছি ৪ বছর গত হলো। জেরী বাবুর রাজনীতিকে আমি ঘৃণা করি কারণ তার কাছে নেতাকর্মীদের কোন মূল্যায়ন নেই। থাকবে-ই বা কেন সেই তো রাজাকার রাজাকারের কি কোন মায়া দয়া আছে। তাছাড়া আমি স্বাধীনতাকে বিশ^াস করি তাই স্বাধীনতার পক্ষে থাকতে চাই আমি উন্নয়নকে বিশ^াস করি । তাই উন্নয়নের কারিগরকে চাই তাই তো বান্দরবানবাসী তার সঠিক প্রার্থীকে বেচে নিয়েছেন। বান্দরবানের মানুষ চাই শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়ন তাই তো তারা উন্নয়নেসর ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তিকে রায় দিল বান্দরবানের সাধারণ ভোটাররা।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়