বান্দরবান সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ , ২৩ চৈত্র ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ১৫ মার্চ ২০২৫

জাল সনদে ১৩ বছর ধরে চাকরি, বান্দরবানে ধরা পড়লেন পাঁচ শিক্ষক

জাল সনদে ১৩ বছর ধরে চাকরি, বান্দরবানে ধরা পড়লেন পাঁচ শিক্ষক

 

বান্দরবানের লামা উপজেলার পাঁচ শিক্ষক দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে জাল সনদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছিলেন। অবশেষে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমির (নেপ) যাচাই-বাছাইয়ে তাদের সনদ ভুয়া বলে ধরা পড়ে।

অভিযুক্তরা হলেন মধুঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, রোয়াজা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, পাহাড়িকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইছহাক মিয়া, চিংকুম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজিব দাশ এবং লেমু পালাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গাজী মো. ইসহাক।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মোট ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে চাকরির অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সনদ যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়। তদন্তে দেখা যায়, হাবিবুর রহমান, আব্দুর রহমান, মো. ইছহাক মিয়া ও রাজিব দাশের সি.এড. সনদ ভুয়া। এ বিষয়ে বাউবির যুগ্ম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইঞ্জিনিয়ার এসএম কামরুল আহসান এক পত্রে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন।

অন্যদিকে, নেপের পরীক্ষায় ধরা পড়ে লেমু পালাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গাজী মো. ইসহাকের সি.ইন.এড. সনদটিও অবৈধ। নেপের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাহানাজ নূরুন নাহারের স্বাক্ষরিত পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এ ঘটনায় বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি জেনেছি এবং অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’

 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ