রোয়াংছড়ির সড়ক নির্মাণে ৮৪ লাখ টাকার অনিয়মের অভিযোগ

বান্দরবানের রোয়াংছড়ির ছাইঙ্গ্যা এলাকায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের (পিআইও) ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর এ অনিয়মের তদারকি না করে সহযোগিতা করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ছাইঙ্গ্যা ইউপির তেঁতুলিয়া ও পাইক্ষ্যং পাড়ার দুটি সড়ক মিলে এক হাজার মিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় রোয়াংছড়ি। যা বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করিম এন্টারপ্রাইজ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজটি তদারকি না করে পরোক্ষভাবে নিম্নমানের কাজ করতে ঠিকাদারকে সহযোগিতা করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তিদার।
স্থানীয়রা আরও জানান, সড়ক দুটি নির্মাণে বক্স কেটে ৬ ইঞ্চি সেন্ট ফিলিংয়ের পর কম্পেকশন করে তার ওপর দুই ধাপে ভালো মানের ইট বসানোর কথা। কিন্তু সেখানে বক্স করার পরিবর্তে কোনো রকম সড়ক দুটির মাটি সমান করে তেঁতুলিয়া পাড়া সড়কে নদীর বালু দেওয়া হলেও কম্পেকশন করা হয়নি। আর পাইক্ষ্যংপাড়া সড়কে বালুর স্তর না দিয়েই বসানো হচ্ছে ইট।
বসানো ইটগুলোও নিম্নমানের বলে দাবি পাড়াবাসীর। ফলে সড়কটির স্থায়িত্ব নিয়ে আশংকা প্রকাশ করছেন তারা।
সরজমিনে দেখা যায়, তেঁতুলিয়া পাড়া সড়কটিতে এরইমধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিটা শেষ করতে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। সেখানে যে বালুর স্তরটি করা হয়েছে তা কম্পেকশন না করায় পা দিলেই দেবে যাচ্ছে। এছাড়া ইটের প্রথম স্তরটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ভাঙ্গা ইট।
এ বিষয়ে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তিদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সম্ভবত করিম এন্টারপ্রাইজ। তিনি বাইরে থাকায় প্রকল্প ব্যয়টি এই মুহূর্তে বলতে পারছেন না।
স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এইভাবে জানতে চাওয়াটা প্রতিবেদকের উচিত হয়নি।’ এই বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
রোয়াংছড়ি উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আজ সকালে তিনি ওই দুটি উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেছেন। সেখানে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করায় কাজ দুটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে এসেছেন।