মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪ ||
আষাঢ় ১৭ ১৪৩১
|| ২৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮
১৪ নভেম্বর আবারও বিএনপি-জামায়াতের স্বরূপ দেখেছে দেশবাসী। যেনতেনভাবে ক্ষমটায় যেতে তারা যে মরণ কামড় দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা তাদের সেদিনের আচরণে একেবারেই স্পষ্ট। প্রত্যক্ষদর্শী জনগণ জানিয়েছেন, সেদিনের সহিংসতা ছিল ‘পূর্বপরিকল্পিত’। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরেই ছিল অস্ত্র ও নাশকতার সকল উপকরণ। মজুদ ছিল লাঠিও। বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে হাতে অস্ত্র ও লাঠিসহ অসংখ্য ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাদের বিধ্বংসী মনোভাবই বলে দিচ্ছিলো তারা সবকিছু ধ্বংস করতেই নেমেছে।
বহু ভাগে বিভক্ত বিএনপিতে সন্ত্রাসের গডফাদার তারেকপন্থী হিসেবে পরিচিত গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সেই গয়েশ্বরের পুত্রবধূ নিপুন রায়কে দেখা গেছে লাঠি হাতে মারমুখী অবস্থানে। মূলত বিএনপি নেতাদের ইন্ধনেই সেদিন সকল ভয়ানক তাণ্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
দলের অনুগত এসব সন্ত্রাসীদের পারফরমেন্সে ভীষণ খুশি পালের গোদা খাম্বা তারেক। প্রাথমিক এসাইনমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হবার পর লন্ডন থেকে এসেছে নতুন আদেশ।
তারেকের এখন তাজা রক্ত চাই। আর চাই বেশকিছু লাশ। সেই পরিকল্পনামাফিকই এগোচ্ছে দেশবিরোধী এই শক্তি।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপি এবারের নির্বাচনে সরকারকে সাংগঠনিক শক্তির ব্যাপকতা বুঝিয়ে দিতে চায়। আমরা অনেকদিন নীরব ছিলাম। অনেক সহ্য করেছি। আর করব না। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে লাশ ফেলে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন তারেক স্যার। সুতরাং আমরা সরকারকে কোন ধরনের ছাড় দিতে চাই না। রাজনীতি রক্ত চায়। বিএনপি রক্ত দিতে পারে, প্রয়োজনে বিরোধীদের রক্ত ঝরাতেও পারে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়