শনিবার ০৬ জুলাই ২০২৪ ||
আষাঢ় ২২ ১৪৩১
|| ২৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮
মুন্সিগঞ্জে জেলা বিএনপি তিন ভাগে বিভক্ত। কোন্দল আর পদ বঞ্চিতদের হতাশার কারণে জেলায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না দলটি।
দলের একাংশের একাধিক নেতা বাংলা নিউজ পোস্টকে জানিয়েছেন, মুন্সিগঞ্জে জেলা বিএনপির কমিটিতে পরীক্ষিত নেতাদের স্থান নেই। কমিটিতে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের আধিক্য। তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির চেয়ে ব্যবসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন। এ জন্যই দলের এমন অবস্থা।
জেলা বিএনপির একাধিক সূত্র বলেছে, দলের তিন অংশের একটিতে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুল হাই ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি মিজানুর রহমান সিনহা। অপর দুই পক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। তবে জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রণ আবদুল হাই ও মিজানুর রহমান সিনহার নেতৃত্বাধীন অংশের হাতে। যার কারণে মুন্সিগঞ্জে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের কোন কথাই আমলে নেন না আব্দুল হাই ও মিজানুর রহমান। অপর দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম কোন সিদ্ধান্ত নিলে তার পাত্তাই দেন না শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুল হাইয়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জের বিএনপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আমি সর্বদাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর আমার কাজে সমস্যা তৈরি করছেন এম শামসুল ইসলাম এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। তাদের কারণে মুন্সিগঞ্জের বিএনপির আজ বেহাল দশা। অতএব তাদের কমান্ড ফলো করার কোন মানেই হয় না।
তবে বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম বলেন, দলীয় কোন্দল তেমন কোন বিষয় নয়। মুন্সিগঞ্জের সাধারণ মানুষ আমাদের পক্ষেই আছেন। ফলে অবদুল হাইয়ের কথায় কিছুই যায় আসে না। আবদুল হাই মুন্সিগঞ্জ ও বিএনপি’র জন্য কোন কাজই করেনি, মন্ত্রী থাকা অবস্থায় এ এলাকার সব উন্নয়ন আমার হাতে গড়া।
বর্তমান প্রেক্ষাপট বিচারে বোঝাই যাচ্ছে মুন্সিগঞ্জের বিএনপি সাংগঠনিকভাবে ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনের আগে এই ভাঙন, ভোটের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়