মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪ ||
আষাঢ় ১৭ ১৪৩১
|| ২৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০১৮
এইসব সংগঠনের মূল কাজ হল গণতন্ত্র রপ্তানির নামে বাংলাদেশকে আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইরাকের মত অস্থিতিশীল করে খনিজ সম্পদ লুটপাট করা।
এই বছরের ৪ আগস্ট সরকার উৎখাতের চেষ্টায় সুজন এর সম্পাদক বদিউল আলমের বাসায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সাথে ড.কামাল হোসেনের গোপন মিটিংয়ে শাহাদীন মালিকের জড়িত থাকার একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কোথাও যাওয়ার আগে নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় থানায় তার অবস্থান উল্লেখ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বার্নিকাট একাধিকবার ড. শাহাদীন মালিকের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন কিন্তু স্থানীয় থানায় সে খবর অজানাই থেকে গেছে।
ড. শাহাদীন মালিক এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ছিলেন। মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়কে কিছু না জানিয়েই তিনি পিএইচডি করার জন্য যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানে চলে গেলেও প্রতি মাসের বেতন নিতে ভুল করেননি। নিয়ম বহির্ভূত অনুপস্থিতির কারণে তার চাকরি চলে যায়। ১৯৯৬ সালে চাকুরিচ্যুতির খবর গোপন রেখে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে শিক্ষক পদে যোগদানের জন্য আবেদন করেন। তবে এবারও তার নিয়োগ সুপারিশ বাতিল হয়ে যায়।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ‘ল’ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল এ্যফেয়ার্স যা সংক্ষেপে বিলিয়া নামে পরিচাত। সরকারের দুইটি মন্ত্রণালয়ের অর্থে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। বিলিয়ার চেয়ারম্যানের পদ নির্বাহী ক্ষমতা সম্পন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের কলকাঠিতে ঘটে যাওয়া ১/১১ এর সময় ড.শাহাদীন মালিক এই প্রতিষ্ঠানের অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। কিন্তু গত বারো বছর ধরে তিনি প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে, ড.কামাল অবৈধভাবে তিন বছর ধরে চেয়ারম্যান পদ ধরে ছিলেন। এই তিন বছরে একদিনও কোন সভা ডাকেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে ২০০৮-০৯ সালের দিকে ‘দৈনিক প্রথম আলো’ তাকে একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত করে তোলে। তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের তাবেদার সরকার একই সাথে তাকে নির্বাচন কমিশন এবং দুদকের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়। নিয়োগ প্রাপ্তির পরই তিনি অবৈধ নারী সাহচর্যের বিনিময়ে তার ঘনিষ্ট দুইজন অযোগ্য ব্যক্তিকে এনার্জী রেগুলেটরি কমিশনের মত রাষ্ট্রের দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করেন বলে অভিযোগ করেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া বেশ কয়েকজন যোগ্য প্রার্থী।
অবৈধ নিয়োগকৃতদের একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার পরিবার হত্যায় জড়িত আসামীপক্ষের আইনজীবি ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার তুরীন আফরোজ। ব্যারিস্টার তুরীন আফরোজের সাথে ড.শাহাদীন মালিকের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মালিকের স্ত্রী ড.কামাল হোসেনের কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগও করেছেন বলে জানিয়েছেন কামাল হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী ফিদা এম কামাল।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়