শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০১৮
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, 8 ডিসেম্বর রাতে জামায়াতকে ২২টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি দেয় বিএনপি। এদিন রাতে দলটির নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিমের কাছে চিঠি তুলে দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় উত্তেজনা। গত ২৭ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামায়াতের প্রদত্ত তালিকা থেকে বাছাই ও আলোচনাসাপেক্ষে ২৫ জন প্রার্থীকে ধানের শীষের মনোনয়নের চিঠি দেন। ওই ২৫টি আসনের মধ্যে রবিউল বাশার (সাতক্ষীরা-৩), ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী (সিলেট-৫), হাবিবুর রহমান (সিলেট-৬) বাদ দিয়ে শনিবার চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এ বিষয়টি সহজে মানতে চাইছে না জামায়াত।
এ প্রসঙ্গে দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা ২২টি আসনে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি পেয়েছি। শুরুতে ২৫টি আসনে দেওয়া হয়েছিল। এখন তিনটি কমে গেছে। কিন্তু আমরা মনে করছি, ওই তিনটি আসনও আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং ২৫টি আসনের একটিও যদি কম হয় আমরা নির্বাচনে যাবো না। আসন নিয়ে নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ছলচাতুরি আমাদের পছন্দ না।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন নেতা জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দলের চেয়ারম্যান চাইছেন ওই তিনটি আসনে ছাড় না দিতে। ইতোমধ্যে ৮ ডিসেম্বর সিলেট-৫ আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুককে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, যাকে ইতোমধ্যে ধানের শীষে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তিনি আগেও নির্বাচিত হয়েছেন। সেক্ষেত্রে এই আসন আমরা ছাড় দিতে চাই না।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের একজন সদস্যের বরাত দিয়ে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, জামায়াতকে ২২টি আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হলেও তারা ৩টি আসনসহ ২৫টি আসনে নিজেদের প্রার্থিতা চান। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে জামায়াত। শুধু তাই না জামায়াতকে অন্তত ৪টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রার্থিতা করতে দিতে হবে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের আলোচনা অব্যাহত আছে। তবে জামায়াত তাদের অবস্থানে অনড়। এ অবস্থায় বিএনপির অবস্থান জানতে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে উপর্যুপরি ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ১৭ নভেম্বর শনিবার জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল জোটগতভাবে মনোনয়নের প্রত্যাশায় ৫০ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা বিএনপির হাতে তুলে দেয় জামায়াত।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়