শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা আজ সকাল আটটায় শেষ হয়েছে।
সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলো সমান তালে নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। ঐক্যফ্রন্টের গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় ছিল একেবারেই ছন্নছাড়া। বিএনপির থেকে প্রতারিত হয়েছেন বলে এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা।
গণফোরামের ৭ আসনের মধ্যে ঢাকা-৬ থেকে সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা-৭ থেকে মোস্তফা মহসিন মন্টু, মৌলভীবাজার-২ থেকে সুলতান মনসুর, হবিগঞ্জ-১ থেকে রেজা কিবরিয়া, ময়মনসিংহ-৮ থেকে খালেকুজ্জামান ও কুড়িগ্রাম-২ থেকে এ এম এস এ আমিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিটি আসনেই প্রায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের বাধা ও দলীয় কোন্দলে নির্বাচনী প্রচারণায় সুবিধা করতে পারেনি কোনও প্রার্থী। দল থেকে মনোনয়ন বিতরণের সময় এসব আসনের বিএনপির অনেক প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে লন্ডনে তারেক রহমানের প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করে শেষে প্রতারিত হয়। নিশ্চিত মনোনয়ন প্রাপ্তি থেকে প্রতারিত এসব বিএনপি নেতারা হতাশ হয়ে দল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন। ঢাকা-৬ আসনে মনোনয়ন পাবার কথা ছিল সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের।
এই আসনে হঠাৎ মনোনয়ন দেয়া হয় গণফোরামের সুব্রত চৌধুরীকে। সাদেক হোসেন খোকার সমর্থকেরা দলীয় এ সিদ্ধান্তে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় এবং সুব্রত চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণাতে শেষ পর্যন্ত বিএনপির কোনও কর্মীকে দেখা যায়নি।
আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ৫টি আসন দেয়া হলেও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে আ স ম আব্দুর রব নিজেই এই আসনে বিএনপির কোনও কর্মীর সমর্থন পাননি। বিএনপির দলীয় অন্তর্কোন্দলের বলীর শিকার হন আ স ম আব্দুর রব নিজেই। বিএনপির স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণার নামে কোটি কোটি টাকা নিয়ে অনেক নেতাকর্মীরা গা-ঢাকা দেয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অপর দল নাগরিক ঐক্য ৫টি আসন পান। দলীয় নিবন্ধন না থাকায় বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচন করলেও কোনও আসনেই বিএনপির স্থানীয় কর্মীদের কোনও কর্মীদের সহায়তা মেলেনি।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর পাশে ছিলনা স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাঁদের প্রত্যাশিত প্রার্থী মনোনয়ন না পাওয়ায় সবাই ছিল ছন্নছাড়া। যে কারণে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও খেলাফত মজলিসের নেতা আবদুল বাছিত আজাদ অনেকটা একা ছিল।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়