শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮
তারেক রহমান বহুদিন যাবতই লন্ডনে পলাতক। দণ্ডিত এ আসামী সেখানে কাটাচ্ছেন ফেরারী জীবন। তবে ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েমের স্বপ্নে বিভোর তারেকের একের পর এক উস্কানিমূলক বার্তায় অতিষ্ঠ জনগণ। সহিংসতার উস্কানি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির দায়ে ইতোমধ্যে তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিজ্ঞ আদালত। তবুও বসে নেই বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারেরা। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত এ আসামির বক্তব্য প্রচার করে চলেছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এযাবৎকালে দেয়া তারেক রহমানের প্রত্যেকটি বক্তব্যেই ছিল নাশকতা, প্রাণহানি ও সহিংসতার বার্তা। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের হাত ধরে দেশ যেখানে উন্নয়ন ও ইতিবাচক রাজনীতির পথে হাঁটছে, সেখানে তারেকের এ বার্তাকে অশুভ শক্তির আস্ফালন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
তারেকের বক্তব্য পর্যালোচনা করেও এ বিশ্লেষণের সত্যতা পাওয়া যায়। তারেক বারবার এবারের নির্বাচনকে যুদ্ধের সাথে তুলনা করে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলছেন। এতে প্রশ্ন থেকে যায় যে, এ যুদ্ধ কার বিরুদ্ধে! লন্ডনে বসে বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে যুদ্ধ করে কোন স্বার্থ হাসিল করতে চান তারেক? মুক্তিযুদ্ধের ৪৭ বছর পেরিয়েও একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশে উস্কানি দিয়ে কোন তাণ্ডব চালাতে চান তিনি? সাধারণের প্রশ্ন, সারাদেশ যেখানে নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবে মাতোয়ারা, সেখানে তারেকের এসব বক্তব্য কিসের আলামত বহন করে! তবে কি তারেকই নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন? এ প্রশ্নের যৌক্তিকতা পাওয়া যায় মাত্র ২৬ দিনে সারাদেশে আওয়ামী লীগের ৫ কর্মী নিহত ও ২০০ কর্মী আহতের ঘটনায়। এসব অপকর্মে যে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা জড়িত, তা বলাই বাহুল্য। এছাড়াও তারেক তার বক্তব্যগুলোতে অসংখ্যবার বলেছেন, ‘এ নির্বাচন গণতন্ত্র উদ্ধারের নির্বাচন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন। ’ যেখানে দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রয়েছে, সেখানে তারেক কি তবে গ্রেনেড, পেট্রোল বোমা মারার গণতন্ত্র চাচ্ছেন? আর নির্বাচন কিভাবে খালেদা জিয়ার মতো একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির মুক্তির হাতিয়ার হতে পারে, সে চিন্তাও ভর করেছে জনগণের মাঝে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে কারো পক্ষে এমন বক্তব্য দেয়া সম্ভব নয় বলেও অভিমত তাদের।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভিত্তিহীন, কাল্পনিক অভিযোগ করে জনগণকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। উত্থাপিত অভিযোগগুলোর পক্ষে অবশ্য সামান্য তথ্য প্রমাণও সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি তারেকের পক্ষে।
তাই তারেকের এসব ফাঁকা বুলি যে কোনো কাজে আসবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনীতি সচেতনরাও।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়