শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিএনপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং জিয়াউর রহমানের কূটকৌশলের আশ্রয়ে গড়ে তোলা সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। বিগত ৪৭ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি যা করেছেন তা লেজুড়বৃত্তি, লিয়াজুকারী, সুবিধাভোগী এবং স্বাধীনতার বিরোধীশক্তি হিসেবেই তাকে অভিহিত করে।
তিনি বরাবরই নিজের সুবিধানুযায়ী দল পরিবর্তন করে আসছেন। তিনি ১৯৭৭-১৯৭৯ সাল পর্যন্ত বিএনপিতে ছিলেন। এরপরে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন এবং প্রায় ১৫ বছর জাতীয় পার্টির হয়ে রাজনীতি করেন। কিন্তু ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর ২০০১ সালে পুনরায় বিএনপির পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেন। এরপর ২০০৮ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হওয়ার পর নিজ দলের সাথে বিভিন্ন সমস্যায় জড়িয়ে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। এবারও আসন্ন নির্বাচনের আগে তিনি নিজ দলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন নেওয়ার জন্যেও তিনি নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনার চেষ্টা, দলের মহাসচিবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া , কোন্দল সৃষ্টি ইত্যাদি অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন।
অতি সম্প্রতি তার এবং বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নোয়াখালী ৩ আসনের প্রার্থী বরকত উল্লাহ বুলুর একটি ফোনালাপ ফাঁসে তিনি বিপাকে পড়েন। এরপর তাকে বহিষ্কৃত করা হয় এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এখন তিনি পুনরায় তার অতীতের রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছেন। তার দল পাল্টানোর প্রবণতার কারণে তাকে এবারের মনোনয়ন দেয়ার পক্ষপাতি ছিলেন না বিএনপির স্বয়ং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এধরনের অসাধু ব্যক্তিদের নিয়েই গঠিত হয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন সমূহ। আর তাই আসন্ন নির্বাচনেও পুনরায় তাদের বর্জন করে জনমত উন্নয়নের পক্ষে অবস্থান নেবে এমনটাই মনে করছেন সচেতন সমাজ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়