শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০১৯
সোমবার দুপুরে আবারো বিমানবন্দর সড়কে শ্রমিক আন্দোলন শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরের সামনের চত্ত্বরসংলগ্ন রাস্তায় এনা পরিবহনের একটি বাস ভাংচুরের পর তাতে আগুন দেন শ্রমিকরা। সকাল ৯টার পর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রমিকরা এসে বিমানবন্দর এবং তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করে।
সকাল ১১ টায় তারা রাস্তায় নেমে আসে। রোববার তারা ৫ ঘন্টা বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে উঠে গেলেও আবারো আজ তাদেরকে রাস্তায় দেখে হতবাক সাধারণ জনগণ।
ভোটের আগে দিয়ে গার্মেন্টস মালিকরা আশংকা করছিলেন যে পোশাক শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হতে পারে। তখন তারা এই বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেছিল। ভোটের আগে দিয়েই হঠাৎ ২০ থেকে ২৫ টা গার্মেন্টসের শ্রমিকদের কর্মবিরতি একটা খারাপ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলো তখন থেকেই। এর জন্য গার্মেন্টস মালিকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেছিলেন। তখন শ্রমিক অসন্তোষের কারণে হা-মীম গ্রুপের কারখানায় মার্কিন কয়েকজন ক্রেতা প্রতিনিধি আটকা পড়েন। পরে হেলিকপ্টার দিয়ে তাদের নিরাপদে উদ্ধার করে আনেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এইভাবে তারা এই কর্মবিরতির মাধ্যমে দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের উস্কানিতে আজ শ্রমিকরা রাস্তায় এই বিষয়ে সবাই নিশ্চিত। কারণ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে যারা আছেন তারা একটি মহলের উস্কানিতে কাজ করছেন এবং সাধারণ শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করছেন।
গত মাসে বিজেএমই সভাপতি জানিয়েছিলেন -”জানুয়ারি মাসে বেতন প্রাপ্তির পর যদি কোনো শ্রমিক ভাই-বোনের আপত্তি থাকে তাহলে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে তা জানাবেন। যদি সেখানে সমাধান না হয়, তাহলে বিজিএমইএর কাছে আসবেন। এরপরেও যদি শ্রমিকরা মনে করেন তারা খুশি নন, তাহলে তারা সরকারের কাছে যেতে পারেন বলে তাদের প্রতি অনুরোধ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।”
কিন্তু এগুলো উপেক্ষা করে তাদেরকে রাস্তায় নামানোতে দেশের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে একটি কুচক্রী মহলের ইঙ্গিত রয়েছে তা এখন পরিষ্কার।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের জন্য সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করলেও মালিকপক্ষ তা দিচ্ছে না। এর দাবি জানালেও উল্টো হুমকি-ধমকি দেয় তারা। যেখানে বিজেএমই সভাপতি নিজে ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবস্থা নেওয়ার সেখানে শ্রমিকদের এই অভিযোগ লোক দেখানো। তবে ভোটে বিশাল ভরাডুবির পর বিএনপি দেশে অরাজগতা সৃষ্টির যে পায়তারা করছে তা তাদের নির্বাচন পরবর্তী বক্তব্যগুলোতে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তারা ছাত্র আন্দোলনেও যেভাবে ইন্ধন জুগিয়েছিল এই আন্দোলনেও যে ইন্ধন দিবে এই বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নিশ্চিত।
তাদের চক্রান্ত হলো দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। তারা কখনো চায়না দেশে একটি সুন্দর স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করুক। নারায়ণগঞ্জ-টঙ্গী-উত্তরা বিমানবন্দর মহাসড়কে আন্দোলন তাদেরই ইন্ধনের ফল। কারণ ছাত্র আন্দোলনের সময়েও তারা এই জায়গাগুলোকে ব্যবহার করেছিল। অবিলম্বে এই আন্দোলনের পেছনে ইন্ধন দাতাদের খুঁজে বের করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়