বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ ||
আষাঢ় ১৯ ১৪৩১
|| ২৬ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮
একের পর এক অপকর্ম ফাঁস হচ্ছে দুর্নীতিবাজ এসকে সিনহার। প্রধান বিচারপতির মতো মহান ও পবিত্র দায়িত্বে থেকে তিনি দেদারসে দুর্নীতি করেছেন, তা এখন প্রমাণিত। সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বর্তমানে অসুস্থতার অজুহাতে স্বেচ্ছায় বিদেশে অবস্থান করছেন।
বিচারপতির চেয়ারকে কলঙ্কিত করে তার অর্জিত অবৈধ সম্পদেরও খোঁজ মিলেছে বিদেশেও। লজ্জাজনক ব্যাপার হচ্ছে এসকল সম্পদের বৈধ কোনো উৎস প্রদর্শণ করতে পারছেন না তিনি। এবার তার কলঙ্কের ইতিহাসে যোগ হলো আরো একটি নতুন মাত্রা।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ এনেছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে ব্যারিস্টার হুদা তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় এসংক্রান্ত একটি মামলা করেন। উৎকোচ গ্রহণের দায়ে করা মামলাটি দুর্নীতি দমন আইনের ৫ এর ২ ধারায় করা হয়, যার জি আর নং ৭৪/১৮। মামলায় একটি সুনির্দিষ্ট ঘটনা তুলে ধরে অভিযোগ জানানো হয়। ব্যারিস্টার হুদা নিম্নোক্ত বিষয়টি তুলে ধরেন মামলায়:
বিগত ২০-০৭-২০১৭ ইং তারিখে বেলা আনুমানিক ২ ঘটিকার সময়ে অত্র মামলার আসামী বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার জমাদার আমার কাছে আসেন। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিস্থ ২০৩ নং কিউবিকেলস-এ এসে তিনি আমাকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করেন যে, আমি যেন প্রধান বিচারপতির সাথে দেখা করি। আমার মুহুরি ফরহাদ ও জুনিয়র এ্যাডভোকেট আশানুর রহমান, ইকবাল আখঞ্জি ও এডভোকেট শিউলি খানম আমার চেম্বারে উপস্থিত ছিলেন।
ঐদিনই বেলা আনুমানিক ২:৩০ ঘটিকায় আমি আসামীর সুপ্রিমকোর্টস্থ খাস কামরায় উপস্থিত হই। তিনি আমাকে একরাশ আশ্চর্যের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়ে জানান যে, ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য মিসেস সালমা ইসলাম, স্বামী-নুরুল ইসলাম বাবুল, সাং: নবাবগঞ্জ, ঢাকা আসামীকে দুই কোটি টাকা প্রদানের প্রস্তাব করেছেন যাতে আমাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার নিমিত্তে তিনিই আমাকে যেকোনো একটি মামলায় সাজা নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, মিসেস সালমা ইসলাম উপরোক্ত দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদিকা ও মালিক এবং আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার ক্ষেত্রে তার দৈনিক যুগান্তরে আমি এবং আমার স্ত্রী সংক্রান্ত সংবাদটি সুপরিকল্পিত ও বিচারপতি সিনহার যোগসাজশের অংশও বটে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়