বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ ||
আষাঢ় ১৯ ১৪৩১
|| ২৬ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৮
এদিকে নিজ দলের এমন কৌশলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে জাল মনোনয়ন প্রাপ্ত নেতা-কর্মীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কৌশলে বিএনপির লাভের বদলে বৃহৎ ক্ষতির সম্মুখীন হলো।
সূত্র বলছে, বিএনপির মনোনয়ন কমিটির পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত মনোনয়ন পত্র চূড়ান্ত মর্মে প্রত্যায়নপত্র দেয়া শুরু হয় ২৫ নভেম্বর থেকে । মনোনয়ন চূড়ান্তের চিঠি পাওয়ার পর সমর্থকরা নিজ এলাকায় গণসংযোগ করা শুরু করে। কিন্তু একই আসনে বিএনপির আলাদা আলাদা প্রার্থীর মনোনয়নের ঘটনায় জানতে পেরে দু’পক্ষই বিভ্রান্ত হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সামগ্রিক পর্যালোচনার জন্য দু’পক্ষের কাছ থেকেই সময় চেয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিস্তারিত জানতে একই আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রাপ্ত দু’জন প্রার্থীর সঙ্গে কথা হয় বাংলা নিউজ পোস্টের প্রতিবেদকের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই আসনের দু’জন প্রার্থীর মধ্যে একজন বলেন, আমি গত ২৬ নভেম্বরে ঢাকা থেকে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি নিয়ে এলাকায় আসি। পরে সমর্থকদের সঙ্গে গণসংযোগের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা কারার পর হঠাৎ শুনলাম আমার আসন থেকে দলেরই অন্য আরেকজনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আমি প্রথমে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। পরে সরাসরি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানতে পারি ঘটনা সত্য। পরে আমরা দু’জনই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের মুখোমুখি হই। পরে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার জন্য কেন্দ্র সময় নিয়েছে। কিন্তু এলাকায় এ নিয়ে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়ে আছে।
এদিকে ওই আসনে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি পাওয়া অন্য প্রার্থীও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তিনি জানিয়েছেন, কেবল এই আসনে নয়, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আরও অনেক আসনেই একই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে আছি।
এমন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, সংসদ নির্বাচনের আর এক মাসেরও কম সময় বাকি। এমন সময় এসে প্রার্থীরা যদি প্রার্থিতা নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকে তবে তা নির্বাচনী মাঠে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এমনকি বিএনপি যে কৌশল অবলম্বন করেছে তার যথাযথ ব্যাখ্যা যদি দিতে ব্যর্থ হয় তবে এর ফল ভালো হবে না বলেই আমি মনে করছি।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়