শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||
আশ্বিন ২০ ১৪৩১
|| ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০১৯
নব্য গঠিতব্য মন্ত্রিসভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে মোস্তফা জব্বারকে। মূলত পরিচ্ছন্ন ইমেজ এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনী কাজের জন্য পুনরায় স্থান করে নিতে সমর্থ হয়েছে প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার। বিরামহীন পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনী পরিকল্পনা এবং তথ্য-প্রযুক্তি খাতে তার মেধাকে অধিকতর ব্যবহারের জন্যই মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে তাকে আবারো সম্মানিত করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৭ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে তিনটায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। এদিকে টেকনোক্র্যাট মর্যাদায় মোস্তফা জব্বারের আবারো মন্ত্রিসভায় ফিরে আসাকে চমক হিসেবেই দেখছেন তথ্য-প্রযুক্তি খাতে জড়িতরা। তথ্যপ্রযুক্তিকে সহজলভ্য করা, তথ্যপ্রযুক্তিকে ভোক্তা বান্ধব করা এবং তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবনমানকে সহজ করার জন্য মোস্তফা জব্বারকে তার কাজের পুরষ্কার হিসেবে আবারো মন্ত্রিসভায় পদ অলংকৃত করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। মোস্তফা জব্বার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে তথ্যপ্রযুক্তিকে আরো জন বান্ধব করে দেশের প্রযুক্তি খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে সমর্থ হবেন মোস্তফা জব্বার। তার উদ্ভাবনী এবং সুশৃঙ্খল প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আগামী অর্থ বছরগুলোতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সঙ্গে জড়িতরা। পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মোস্তফা জব্বার বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্টজনরা।
মোস্তফা জব্বার (জন্ম: ১২ই আগস্ট, ১৯৪৯) একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও মন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি। তার প্রতিষ্ঠানের বিজয় বাংলা কিবোর্ড ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় যা ইউনিকোড ভিত্তিক অভ্র কী-বোর্ড আসার পূর্ব পর্যন্ত বহুল ব্যবহৃত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ বিষয়ের ওপর অনেকগুলো বইয়ের লেখক তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে মোস্তাফা জব্বার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মুজিব বাহিনীর খালিয়াজুরি থানার সহ-অধিনায়ক ছিলেন। তার বাড়ীর পাশের সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১৬১ জন রাজাকার যুদ্ধোত্তরকালে তার কাছে আত্মসমর্পণ করে।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়