বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||
কার্তিক ৭ ১৪৩১
|| ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে মোবাইলের আইএমইআই ডাটাবেজ তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ হলেও এখন বাকি ব্যবহারকারীদের তথ্য সমন্বয়ের কাজ। বিটিআরসি বলছে, এর মাধ্যমে দেশে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে অনেক ডিজিটাল অপরাধ। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিটি মোবাইল অপারেটরকে নতুন বিনিয়োগের পাশাপাশি আধুনিক করতে হবে বেশ কিছু প্রযুক্তি। এজন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে প্রায় এক বছর।
দেশে বর্তমানে মোবাইল গ্রাহক রয়েছে প্রায় ১০ কোটি। আর এই গ্রাহকদের প্রতি বছর সাড়ে তিন কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। যার প্রায় শতভাগই আমদানি নির্ভর। এই আমদানির একটি বড় অংশই আসে অবৈধ পথে। চোরাইপথে মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি বন্ধে সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি চালু করেছে বৈধপথে আসা সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের ডাটাবেজ। যার সঙ্গে যুক্ত হবে হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীর তথ্য। প্রতিটা মোবাইল হ্যান্ডসেটে থাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি বা আইএমইআই এর সাথে যুক্ত করা হবে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর ব্যবহারকারি গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য। ফলে দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের সকল তথ্য থাকবে একই ডাটাবেজের আওতায়। অবৈধ হ্যান্ডসেট প্রবেশ ও চুরি কমার পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংগঠিত অপরাধকারীদের চিহ্নিত করতে এই জাতীয় তথ্যভাণ্ডার যথেষ্ট সহায়ক ভুমিকা রাখলেও আছে কিছু প্রতিবন্ধকতা। বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, 'মনে করেন আপনি বিদেশ গিয়েছেন একটা মোবাইল কিনে নিয়ে আসলেন। এটা বৈধ। এটা আপনি আনতেই পারেন। কিন্তু এটা কিন্তু রেজিস্টার হলো না।' বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে একদিকে সরকারে রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে তেমনি কমবে কমবে গ্রাহক ভোগান্তি। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক সহায়তায় এবং বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে চলছে এই মোবাইলের আইএমইআই ডাটাবেজ তৈরির কাজ।
dainikbandarban.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়