নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও লাগে না : প্রধানমন্ত্রী
দৈনিক বান্দরবান
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান দেওয়াকে অত্যন্ত দুঃখজনক আখ্যায়িত করে বলেছেন, নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও লাগে না। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকার বাহিনী কিভাবে দেশে অত্যাচার চালিয়েছে তা তারা জানে না। এসব অত্যাচার, রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকা এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাবোধ হয়নি।
’
গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ‘বার্ষিক কর্ম সম্কাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর’ এবং ‘বার্ষিক কর্ম সম্কাদন চুক্তি’ ও ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্কদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি কর্ম সম্কাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বার্ষিক কর্ম সম্কাদন চুক্তি প্রবর্তন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে গেছেন, লাখো মা-বোন নির্যাতিতা, তাঁদের এই অবদান ভুললে চলবে না।
এটা মনে রাখতে হবে। পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকার বাহিনী যেভাবে এ দেশে অত্যাচার করেছে, সেখানে আমার খুব দুঃখ লাগে যখন শুনি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও বলে তারা রাজাকার।’
তিনি বলেন, “তারা কী জানে ’৭১ সালের ২৫ মার্চ কী ঘটেছিল সেখানে। সেখানে ৩০০ মেয়েকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এই দেশীয় দোসররা।
৪০ জন মেয়েকে পাকিস্তানি ক্যাম্কে ধরে নিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছিল। তারা সেখানে কী অবস্থায় ছিল? অনেক মেয়ে শাড়ি বা ওড়না দিয়ে ফাঁসি দিয়েছিল তাদের কাপড় পরতে দেওয়া হতো না। একটা পেটিকোট পরিয়ে বসিয়ে রাখা হতো। দিনের পর দিন তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাত।”
সরকারপ্রধান বলেন, যখন তাদের উদ্ধার করা হয়, মিত্র শক্তির এক ভারতীয় শিখ সৈন্য নিজের মাথার পাগড়ি খুলে এক মেয়ের গায়ে পরিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এটা কেবল একটা ঘটনা, এরকম বহু ঘটনা রয়েছে।
শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা বসে থাকত না। তারাও কিন্তু কাজ করত। পিরোজপুরে এক মেয়ে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর রান্নার কাজ করত এবং রাতে নদী সাঁতরে পার হয়ে চিতলমারী গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্কে গিয়ে হানাদারদের খবর পৌঁছে দিত। ধরা পড়ার পর দুটি গাড়ির সঙ্গে তার দুই পা বেঁধে টেনেহিঁচড়ে খণ্ড বিখণ্ড করে ফেলা হয়। এসব অত্যাচার, রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকা এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জা হয় না।’
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের গেরিলা যুদ্ধ হয়েছে। এখানে কেউ শান্তি কমিটিতে ছিল কিন্তু মানুষের ক্ষতি করেনি। কিন্তু যে বাহিনীগুলো তারা (পাকিস্তানি হানাদাররা) তৈরি করেছিল তাদের হাতে অস্ত্র দিয়েছিল এবং তাদের দিয়ে মানুষের ক্ষতি করত, অত্যাচার, লুটপাট এবং গণহত্যা চালাত। তাদের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, তাদের বিচার করে অনেকের ফাঁসিও দিয়েছি। এর মাধ্যমে তাদের দ্বারা যারা নির্যাতিত, তারা ন্যায়বিচার পেয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্বের। জাতির পিতার একটি ডাকে এই দেশের মানুষ ঘরবাড়ি, পরিবার-পরিজন সব কিছু ছেড়ে দিয়ে রণক্ষেত্রে চলে গেছে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধ করে বিজয় এনে দিয়েছে। আর যারা ওই বাহিনীতে ছিল (রাজাকার-আলবদর-আলশামস) এই দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে। সেটা তো ভুলে গেলে চলবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সেই শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে। তাহলেই এ দেশ এগিয়ে যাবে এবং সেটা যে বাস্তবতা তার প্রমাণ ’৭৫-এর পর যারা ক্ষমতায় ছিল ২১ বছর এবং পরে আরো প্রায় ৯ বছর তারা দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। কিন্তু আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি এবং আমরা ভুক্তভোগীরা যখন ক্ষমতায় এসেছি মাত্র ১৫ বছরে আজ বদলে গেছে বাংলাদেশ। বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত বাংলাদেশ। সেই দরদটুকু থাকতে হবে। যা-ই হোক, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
সরকারপ্রধান বলেন, তাঁর প্রথমবার সরকার গঠনের পর থেকেই লক্ষ্য ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্বে স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ যে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছিল এবং পঁচাত্তরে এই জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর যে মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়ে যায় তাকে আবার সগৌরবে ফিরিয়ে আনা। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা আর দেশকে একটা মর্যাদার আসনে নিয়ে আসা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের যে সংবিধান দিয়েছিলেন সেই সংবিধানের ২১-এর ২ অনুচ্ছেদের আলোকে আমরা সেবামুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই কর্ম সম্কাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি আওয়ামী লীগ সরকারই গ্রহণ করে। কারণ, প্রশাসনের ওপর থেকে নিম্নস্তর পর্যন্ত যদি একটা জবাবদিহি না থাকে, কিভাবে কার্য সম্কাদন বাস্তবায়ন হবে সে সম্কর্কে যদি ব্যবস্থা না নিই তাহলে সমস্ত কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় না। তাই দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পর এই পদ্ধতি নিই এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চালু করি। আর এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১১তম বারের মতো ২০২৪-২৫ সালের বার্ষিক কর্ম সম্কাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।’
তিনি বলেন, ‘আজ আপনারা যারা স্বাক্ষর করলেন সেসব সচিব আবার নিজের মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগ আছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সেগুলোর সঙ্গেও আপনাদের এই চুক্তি সম্কাদন করে প্রত্যেকের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কি না নিশ্চয়ই সে ব্যাপারেও আপনাদের নজর রাখতে হবে। আর সেটা আপনারা করবেন বলে আমি আশা করি।’
তিনি বলেন, ‘স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে একেবারে নিচের দিক পর্যন্ত আপনাদের নজরদারি বাড়াতে হবে। কারণ, আমাদের ওপর দিকটা ভালো আছে কিন্তু নিচের দিকে কিছু সমস্যা হয়। কাজেই সেগুলো যাতে না হয় সবার মাঝে সেই চেতনা গড়ে তুলতে হবে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবারও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই যেখানেই কোনো অনিয়ম দেখা দেবে তার বিরুদ্ধে আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’ তিনি বলেন, “আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছি। আর এই দুর্নীতি ধরতে গেলে আমাদের সরকারের ওপর দায়টা চাপিয়ে দেওয়া হয়। আমি এটা বিশ্বাস করি না। দুর্নীতি খুব কম লোকই করে, কিন্তু তার বদনাম হয় খুব বেশি।”
সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের কী বদনাম হবে না হবে সেটা আমি পাত্তা দিই না। কিন্তু আমি এই সাজাকে আরো শুদ্ধ করে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ যাতে সৃষ্টি হয় সেই ব্যবস্থাই নিতে চাই। কোনোমতেই আমি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সম্কাদন করা এপিএ একে একে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নে সাফল্য প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে পুরস্কৃত করেন। সার্বিক মূল্যায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ শীর্ষস্থান লাভ করে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রবর্তিত শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২৪ লাভ করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
- তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে
- এখনই নির্বাচনে ‘না’ ছাত্র-জনতার
- চলছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর শেষ পর্যায়ের কাজ
- বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ১০ সুপারিশ
- সৎ ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে দ্রুত উদ্যোগ
- শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে একগুচ্ছ পরিকল্পনা
- আগামী সাত বছরের মধ্যে শস্য রোপণ, কর্তন ও সংরক্ষণে ৪০ শতাংশ যন্ত্র ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২০
- ঋণদাতা সংস্থা থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার চায় ঢাকা
- পাচার ৯০ হাজার কোটির খোঁজে দুদক
- তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে, কঠোর বার্তা ড. ইউনূসের
- সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করার সিদ্ধান্ত হয়নি: মন্ত্রণালয়ে
- স্বাভাবিক হচ্ছে ওষুধ কারখানার অস্থিরতা
- নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের গেজেট প্রকাশিত
- বিচারের আগে ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই: উপদেষ্টা আসিফ
- উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ইউএনডিপি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
- পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন ভোক্তার ডিজি শফিকুজ্জামান
- ইসলামী ব্যাংকে ব্যবসা পরিচালনা ও এলসি খোলায় বাধা নেই: গভর্নর
- ফের ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
- দাম কমাতে আলু ও পেঁয়াজের শুল্ক-কর কমানোর উদ্যোগ
- মৌলভীবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী নিহত
- শ্রমিকদের ন্যায্য সব দাবি পূরণ করা হবে: আসিফ মাহমুদ
- সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে রদবদল
- টিভিতে আজকের খেলা
- পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার: ইউনূস
- ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে আলোচনা করবে ঢাকা-ওয়াশিংটন
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
- সার্কের পুনরুজ্জীবন চান ড. ইউনূস
- শিগগির সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- আগে সংস্কার পরে নির্বাচন
- ঘুমধুমে ডাম্প ট্রাক ভর্তি সার জব্দ
- পুনরায় কেএনএফ এর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের পরিকল্পনা সেনাবাহিনীর
- নতুন বিশ্ব গড়ার কৌশলের কেন্দ্রে তরুণদের রাখার আহবান
- বান্দরবানে ২ মামলায় আওয়ামীলীগের ২৭০ জন নেতাকর্মী আসামী
- শিগগির সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- গণমাধ্যমের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
- ফের ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
- ভেঙে দেয়া হচ্ছে ১২ ব্যাংকের পর্ষদ
- আমরা জনগণের বিশ্বাস ভালোবাসা ধরে রাখবো- বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন
- মোদিকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন ড. ইউনূস
- বান্দরবানে সেনা জোনের মানবিক সহায়তা প্রদান
- রুমায় জাল স্বাক্ষরে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাত
- পাচার টাকা ফেরতে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা
- বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবীতে অবস্থান ধর্মঘট
- বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবো - পার্বত্য উপদেষ্টা
- বান্দরবান প্রেসক্লাবের পুন:গঠিত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ওসমান গণি, সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার
- বান্দরবানে দুই পৌর মেয়র কে অপসারণ
- শিগগিরই যৌথ অভিযান
- ঢেলে সাজানো হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন
- নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ